কবিতা/ছড়া

কবিতা

প্রেয়সী

প্রেয়সীর ঠোঁটে গোলাপ ছুঁইয়ে বলেছিলাম ‘তুমি স্নিগ্ধ আর গোলাপ শুষ্ক’। হাত কেঁটে গেলে নরম আঙ্গুলটি মুখের, ভেতর নিয়ে চুষে খেতাম রক্ত যেন আমি রক্ত পিয়াসী প্রেমিক। বাহু ডোরে জরিয়ে রাখতাম যেন, শীতের রুক্ষতা র্স্পশ না করে তোমার কোমল ত্বক। তীব্রতম যন্ত্রনায় ও তোমার মুখে সাজিয়ে দিতাম হাঁসির গালিচা। তোমার অনন্দে …

বিস্তারিত »

ধ্রুপদী

তপ্ত বুকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জড়তে দেখে হৃদয়ে কম্পন জাগে, আমি ভাবি এই বুঝি তুমি এলে ! কালো চশ্মায় এই নেশাতুর চোখ ডেকে রেখে অন্ধ সাঁজি, যেন তোমাকে দেখতে পাই অপলোক দৃষ্টিতে। সকালের ঘুমন্ত আকাশের দিকে চেয়ে থাকি, ভাবি এই বুঝি ভেসে উঠবে তোমার অবয়ব। ভুল, সে আমার সারাটি দিনের …

বিস্তারিত »

মাঝ রাতের সপ্ন

মাঝ রাত, সময়ের হাত ধরে হামাগুরি খেয়ে চলেছে এই কৃশ আধার ! আর কিছুক্ষন পর হয়ত উঠবে সেই বিষন্ন সূর্য। তার অলোয় আলোকিত হবে মানব আত্তা, তুমি-আমি তোমার প্রতিটি লোমকুপ। হয়তো ফজরের সেই রোদন্যধ্বনি পৌছে যাবে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর র্কনে চোখে পড়বে লড়াকু সূর্যের তপ্ত কিরন, বুকে জমবে আসার মরিচীকা। …

বিস্তারিত »

‘আমার বুকে কালবৈশাখী জড়’

তোমার চোখের কাজলে সে কোন মায়া, আমার হৃদয়ে ভেঁসে ওঠে তোমার ছাঁয়া। কোন সে কায়া তোমার চোখে করছে লুটোপুটি অষ্টপ্রহর, সকাল-বিকাল তোমাকে-ই দেখি। উড়ন্ত পাখির ক্লান্ত পালক যখন ফেরে নীড়ে, সূর্য তখন পশ্চিমে বসে আমায় দেখে হাসে । যখন আমি তোমায় ভেবে বিশ্ব করি জয়, তখন তুমি আমার বুকে, হয়ে …

বিস্তারিত »

তোমার হাত আর আমার সাদা র্শাট

যে দিন তুমি চলে গিয়েছিলে, তার ঠিক তিন দিন পর আমার মৃত্যু হল। সে মৃত্যুর সাক্ষী কেউ নেই, তোমার জন্য আমার বিষ্বাদ মৃত্যু ! আমার আত্তা আজ কেঁদে ফেরে তোমার চারপাশ ! অনেকেই অনেক কথা বলে আমার মৃত্যুর কারন নিয়ে, হয়ত তারা জানতো না। কিন্তু তুমি জানতে বলেই কি আজ …

বিস্তারিত »

‘আমি নষ্ট হৃদয়ের কষ্ট’

আমি অথৈই, যার কূল নেই গভীরতা যার আসল ঠিকানা । আমি বৃক্ষের পাতা, যা কিনা ফেললে আর মেললে সব-ই দুই । আমি নষ্ট হৃদয়ের কষ্ট ! আমি নারীর রুপে বিমহীত এক ভক্ত। আমি পথ হারা পথিক, যার সব পথ আজ শুধুই পথভ্রষ্ট । স্বত্ব ও দায় লেখকের…

বিস্তারিত »

আমি আমার মতোই থাকবো

যে যায় করুক তুচ্ছ আমায়, আমি তো আগের মতোয় থাকবো। হৃদয় দিয়ে বাসবো ভালো, প্রান খুলেই হাসব। তাদের সাথে মিশবো আমি, বলবো কথা, যারা আমায় ভাবে আগাছা আর তৃণ-লতা । তাদের জন্য-ই দেব প্রান, সইবো শত অপমান। সুতা ছাড়া ঘুড়ি যেমন উড়েনা আকাশে, বন্ধু ছাড়া বন্ধন হয় না সাধিতে। –মল্লিক …

বিস্তারিত »

‘ভাঙার গান’— কাজী নজরুল ইসলাম

ভাঙার  গান : কারার ঐ লৌহ-কবাট ১ কারার ঐ লৌহ-কবাট ভেঙে ফেল, কর রে লোপাট রক্ত-জমাট শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী! ওরে ও তরুণ ঈশান! বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ! ধ্বংস-নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি। ২ গাজনের বাজনা বাজা! কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা মুক্ত-স্বাধীন সত্যকে রে? হা হা হা পায় যে …

বিস্তারিত »

তোমার নষ্টনীড়ে মাতৃকোষ

আজ তোমার জন্য র্সাটের বোতাম, ডেকে রাখে আমার ব্যার্থতার কথা। কালো সুতার শক্ত বাধঁনে প্রতিনিয়ত জরাই র্সাটের বোতাম, তবু তোমাকে দেখলেই ছুটে যেতে চাই, যেমন যায় বন্দুক থেকে গুলি। তোমার জন্য সিগারেটের সাদা ফিল্টার, শত যুবকের ঠোঁট করছে কালো। তোমায় ভেবে আজও কোন যুবক, যৌন উত্তেজনা মেটায় বেশ্বার ঘরে। তোমার …

বিস্তারিত »

নদীর বুকে মাঝির রঙীন সপ্ন

নদীর এপার থেইক্কা ওপার, নৌকায় আমি দিন রাইত করি মানুষ পারাপার। বুকের মধ্যে সুখ-দুঃখের কথা, আর আমার বাঁশি, তাই নিয়া আমি এই নদীর বুকখান জুইরা ভাসি। কেডায় বা মোর আপন, কোন জনই বা মোর পর ? নদীর বুকে চাবি-তালা ছাড়া মোর এই ঘর। নদী ই হামার মা-বাপ, তাই জন্মসূত্রে মোরা …

বিস্তারিত »