তামাক মুক্ত করার জন্য কি শুধু একটি এস.এম.এস. এর মাধ্যমে সচেতন করা সম্ভব?? সরকার সিগারেট বিক্রয়ের অনুমতি দিয়ে তামাক মুক্ত দিবস পালন করলে তো হবে না। শুধু প্যাকেটের গায়ে সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরন ধুমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বা ধুমপান মরণের কারণ বা ধুমপান ক্যান্সার ঘটায় লিখে – মানুষকে সচেতন করা যাবে না। মানুষের সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান ধর্ম। সেই ধর্মের বাণী শুনে মানুষ সচেতন হচ্ছে না, আর কোথায় প্যাকেটের গায়ের লেখায় সচেতন হবে। বড়ই হাস্যকর ব্যাপার!
একটা কথা চালু আছে – মাইরের নাম বাবাজী, ভূত পালায় ডরে। তাই লিখিতভাবে সচেতন না করে আইন করে তামাক বন্ধ করুন। যখন ক্লাস এইটে তখন ২ টাকা দিয়ে গোল্ডলিফ কিনে টান দিয়েছিলাম, তার মূল্য এখন ৬ টাকা। মূল্য বাড়লেও ব্যবহার কমে নি বরং এত বেশি চাহিদা যে, কোম্পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। প্যাকেটে লিখে, এস. এম. এস. বা মূল্য বাড়িয়ে তামাক মুক্ত করা সম্ভব না। আর নতুন আইনেরও প্রয়োজন নেই। মাদকদ্রব্য আইনের আওতায় এনে যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করে তামাক বন্ধ করতে হবে।
অন্যথায় এই লোক দেখানো তামাকমুক্ত দিবসের কোনোই মানে হয় না। গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার কোনো মানে আছে??
ক্লাস এইটে সিগারেট ধরলেও, সিগারেট আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নি বরং আমি সিগারেটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে বাদ দিয়েছি। কিন্তু আমার প্রিয় বন্ধুগুলো কেউ কেউ বাদ দিতে পারে নি। হয়ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে তারাও বাদ দিবে। আর কি বা ভরসা করবো আইনের উপর। ধুমপান নিয়ে যে, আইন পাস আছে তারই তো প্রয়োগ নেই। আইন পাসের পর আমি নিজে আইন রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে জনসম্মুখে ধুমপান করতে দেখেছি।
তারপরও স্বপ্ন দেখি আমার সোনার বাংলা একদিন ধুমপান মুক্ত তথা তামাক মুক্ত হবে। তামাকের ভয়ংকর গ্যাস বা সিগারেটের নিকোটিন বিষ আর সহ্য করতে হবে না আমাদের।