১৬ জানুয়ারী, আজ তার মৃত্য বার্ষিকী।
১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই অপরাজেয় লেখক। তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। আর্থিককষ্টে মতিলাল স্বপরিবারে ভাগলপুরে শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে তেজনারায়ন জুবলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৮৯৪ সালে এনট্রান্স পাস করেন এ এফ.এ ক্লাসে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে অর্থকষ্টে বাদ দেন পড়াশুনা।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যের হাতেখড়ি হয় ভাগলপুরে। এসময়ে খসড়া লেখা পরবর্তীতে সংশোধীত হয়ে প্রকাশ চন্দ্রনাথ দেবদাসের মত সাহিত্য।
কলকাতা থেকে বার্মায় যাওয়ার সময় মন্দির নামের একটি গল্প কুন্তীলন পুরষ্কারের জন্য দাখিল করে যান। যা পরবর্তীতে পুরষ্কৃত হওয়ার সাথে কুন্তীলন পুস্তিকামালায় প্রকাশিত ১৩১০ সালে। বার্মাতে থেকে তার তার লেখা বড়দিদি। এসময়ই ইংরেজি উপন্যাসের বিষয়বস্তু নিয়ে রচনা করেন দত্তা ও দেনাপাওনা।
বাংলা ভাষা বাদে তার লেখা বহু ভারতীয় ও বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। শরৎচন্দ্রের সাহিত্য কর্মকে নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় পঞ্চাশটি চলচিত্র বিভিন্ন ভাষায় তৈরী হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশী দেবদাস। স্বামী চলচিত্রের জন্য ১৯৭৭ সালে ফিল্মফেয়ারে সেরা লেখকের পুরষ্কার পান।
তার জনপ্রীয় কয়েকটি উপন্যাস বড়দিদি, রিবাজবৌ, পরিণীতা, পল্লীসমাজ, দেবদাস, পন্ডিতমশাই, শ্রীকান্ত, পথের দাবী, দত্তা, গৃহদাহ উল্ল্যেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি নাটক, গল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।