ফকিরহাট থেকে ফিরেঃ বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার আলী ফকিরকে (৩৭) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের ফলতিতা মৎস্য আড়তের দূতি ফিস নামে একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কাওসার আলী ফকিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে,এ হামলার খবর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার বিশ্বরোডের মোড়ে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
স্থানীয় আ.লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে।
তবে, বিএনপির দাবি নিজেদের মধ্যে কোন্দলে নিজেরা মারামারি করে এখন তার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপানো চেষ্টা করছে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় জড়িতদের সন্ধ্যার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিকেলে অবরোধ তুলে নেয়।
আহত ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই ও বাহিরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির রেজাউল করিম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, প্রতিদিনের মতো তার ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার আলী ফকির উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ এ যায়। তার মালিকানাধীন মেসার্স দূতি ফিসের সামনে পৌছে এলাকার চিহ্নিত মাছ চোর হালিমকে মাছ চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে ক্ষুব্দ হয়ে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে্লক্সে ভর্তি করে।
তিনি আরো বলেন, চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিএনপির আশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসী হালিম ও তার সহযোগিরা তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
তবে, ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ শরীফুল কামাল কারীম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হালিম বিএনপির কেউ নয়। তাই হালিমকে আশ্রয় প্রশয় দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। সে আ’লীগের একটি গ্রুপের সাথে চলে। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তারা নিজেরা মারামারি করেছে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আনোয়ার হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, অবরোধের কারণে সড়কের দু’পাশে শতশত গাড়ী আটকা পড়ে। সন্ধ্যার মধ্যে হালিম ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিকাল ৩ টার দিকে অবরোধকারীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে যান চলাচল সাভাবিক হয়।