বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে তিন দফায় মোট ৪২ ভারতীয় জেলেকে আটক করলো নৌ-বাহিনী।
সবশেষ সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে একটি ভারতীয় ট্রলারসহ আটক ১৪ জেলেকে মংলা থানায় হস্তান্তর করেছে নৌ বাহিনী।
মঙ্গলবার রাতে নৌ-বাহিনী আটককৃত ওই ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করে।
এর আগে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ বিএনএস পদ্মা ভারতীয় ট্রলার “এফবি হংসরাজ”সহ ওই ১৪ জেলেদের আটক করে।
এসময় আটক ভারতীয় ওই ট্রলারে তল্লাসি চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ মন সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করে নৌ বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার আটককৃতরা হলেন- জগন্নাথ দাস (৪৫), ভবতোষ দাস (৫০), হরি দাস (৪৮), চন্দ্রধর দাস (৫০), সুবাস সাঁ (৪২), সুবিলাস দাস (৫০), প্রফুল্ল দাস (৪০), অভিরাম দাস (৪২), বিমল বর্মণ (৪৫), সিন্ধু দাস (৪৮), বৃন্দাসি দাস (৪০), আশু দাস (৪০), গৌর দেবনাথ (৪৮) এবং সুনিল দাস (৪৭)।
আটক ওই জেলেদের সবার বাড়ি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশপরগনা জেলার কাকদ্বীপ উপজেলায়।
মংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহী বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছল নৌ বাহিনীর জাহাজ বিএনএস পদ্মা। এসময় বাংলাদেশের জলসীমায় একটি ভারতীয় ট্রলারকে মাছ শিকার করেত দেখে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
পরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের কারনে এফবি হংসরাজ নামের ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌবাহিনী।
তিনি আরো জানান, এসময় ওই ট্রলার থেকে তারা (নৌ বাহিনী) বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ মন সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ওই মাছ মঙ্গলবার মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে নৌ-বাহিনীর পেটি অফিসার এম এ হালিম বাদী হয়ে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় একটি মামলা করেছেন। বুধবার ওই জেলেদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।