মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল বাঁচাতে সকল শাখা খাল দখল মুক্ত এবং খননের দাবিতে বাগেরহাটের রামপালে ‘নদী বক্ষে পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও মংলা বন্দর রক্ষা, বিপন্ন জীবন-জীবিকার পুন:উদ্ধার, জলাবদ্ধতা নিরাসনকল্পে পরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক নৌ-রুট মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দ্রুত খনন, দাউদখালী নদীসহ সংলগ্ন সকল সরকারী খালের উপর অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা অপসরনের দাবিতে স্থানীয় ৫টি সংগঠনের ব্যনারে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
পদযাত্রা শেষে দাউদখালী নদীর ঘষিয়াখালী চ্যানেলে গিয়ে তারা সমাবেশ করে। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার, বিপুল সংখ্যাক নারী পুরুষ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাউদখালী নদী ও সংযোগকারী খাল সমূহের অবৈধ দখলের কারনে ঘোষিয়াখালী চ্যানেলটি মরে গেছে। যার ফরে বিকল্প হিসাবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল করত। আন্তর্জাতিক এই নৌ চ্যানেলটি পরিকল্পিত ভাবে খনন এবং পুন:খনন প্রয়োজন।
চ্যানেলটি সচল করতে এই দ্বিমুখী অবস্থার উত্তোরণে চ্যানেলের প্রধান দুটি সংযোগ নদী দাউদখালী ও বিসনা নদী পুন:খনন, বিলিন অংশ পুনদ্ধার, এর উপর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ নদী দুটি সংলগ্ন সকল সরকারী খালের উপর নির্মিত শতশত অবৈধ বাধ অপসরনে দবি জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, নৌ চ্যানের সংলগ্ন সব নদীর স্রোরােতধারা ঘষিয়াখালি চ্যানেলের সাথে মিশিয়ে দিলে পানির প্রবাহ বহুগুনের বৃদ্ধি পাবে। এতে চ্যানেলটি আবার আগের মত সচল হবে। দেশী-বিদেশী নৌ-যান চলাচল করতে পারবে।
বর্তমানের খনন প্রক্রিয়াকে ধীরগতির কথা তুলে ধরে বক্তারা আরো বলেন, যে প্রক্রিয়ায় খনন চলথে তাতে রাষ্টোর অর্থের অপচয় হবে। এজন্য একই সঙ্গে একাধিক ড্রেজার দিয়ে একই মৌসুমেই খনন কাজ শেষ করে স্রোরােতধারা প্রবাহমান করতে হবে।
পদযাত্রার সমন্বায়ক এ্যাড: মহিউদ্দিন সেখের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মো: বজলুর রহমান, মংলা ঘোষিয়াখালী চ্যনেল রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক এমএ সবুর রানা, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশীপ (সিডিপি)’র খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, কারিতাসের উপজেলা মাঠ কর্মকর্তা হারুন গাজী, জাসদ নেতা শেখ আফজাল হোসেন, নবলোকের ভিলেজ প্রকল্প কর্মকর্তা পল্লব রায়, প্রবীর বিশ্বাস, জলবায়ু সহিষ্ণু গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কৃষ্ণা রানী দে প্রমুখ।
মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ রুট চালুর জন্য এর সাথে ১৪০টি রেকার্ডীয় সংযোগ নদী-খালের বাঁধ অপসারণ, খনন এবং এলাকার চিংড়ী চাষ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে দাবিতে দীর্ঘ্য দিন ধরে নানা কর্মসূচি পাল করে আসছে উন্নয়ন সহযোগী এবং স্থানীয় বেশ কিছু সংগঠন।