প্রচ্ছদ / খবর / পূর্নাঙ্গ বিমানবন্দর দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবে

পূর্নাঙ্গ বিমানবন্দর দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবে

বাগেরহাটে পূর্নাঙ্গ বিমান বন্দর নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করবে- বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লায় নির্মানাধীন খানজাহান আলী বিমান বন্দর পরির্দশন শেষে স্থানীয় এক সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, এই বিমান বন্দরটির নির্মান কাজ শেষ হলে বিশ্ব ঐহিত্য সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহান (রহ.) এর মাজারসহ এই এলাকার পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটবে। আরো গতিশীল হবে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা।

যা পিছিয়ে পড়া দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বতৃতায় মন্ত্রী আরো বলেন, সুন্দরবন ও ষাটগুম্বজকে ঘিরে সরকার বিশেষ পরিকল্পনায় নিয়েছে। আসন্ন আগামী অর্থ বছর থেকে খানজাহান আলী বিমান বন্দরের র্নিমান কাজ পূর্নাঙ্গ ভাবে শুরু হবে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো: জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে বিমান বন্দর এলাকায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- স্থানীয় সাংসদ (বাগেরহাট-৩) তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ এ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধূরী, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল সানাউর হক, চীপ ইঞ্জিনিয়ার গোস্বামী, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো: নিজামুর হক মোল্যা প্রমূখ।

এর আগে মন্ত্রী নির্মানাধীন বিমান বন্দরের রানওয়ে ঘুরে দেখেন ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করেন।

চলতি মাসের ৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে একনেকের বৈঠকে খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মান কাজে ৫৪৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্মন কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে।

বিমানবন্দরটি নির্মাণে সরকারি তহবিল থেকে ৪৯০ কোটি টাকা ও বেবিচক (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) বাকি ৫৪ কোটি টাকা দিবে। অধিগ্রহণ করা হবে আরও ১৬৩ হেক্টর জমি।

১৯ মে ২০১৫ :: স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আই হকএনআর এ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ

পূর্বের বাগেরহাটে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
পরের বাগেরহাটে বিএনপি নেতা আটক