বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাসচাপায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো অন্তত ৫ জন গুরুত্বর আহত হন।
নিহতরা হলেন- ফকিরহাটের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের ছাত্রী মোনালিসা মুন্না (১৭) ও চিতলমারীর কলিগাতি গ্রামের আবু সাইদ খলিফার ছেলে ওবাইদুল খলিফা ২৬)।
মোনালিসা চিতলমারী উপজেলার পারডুমুরিয়া গ্রামের সরদার আব্দুল হাকিমের মেয়ে। শনিবার সাকালে এইচএসসি’র ব্যবহারীক পরীক্ষায় অংশ নিতে সে চিতলমারী থেকে ফকিরহাটে আসে।
এদিকে কলেজ ছাত্রী মোনালিসার মৃত্যুর খবরে তার সহপাঠি ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁকে এক নজর দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসচাপায় সহপাঠির হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষক লাঞ্ছিত করে পুলিশ। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে দাড়িয়ে-বসে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে তারা।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মান্নান ফরাজী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সকালে চিতলমারী থেকে খুলনাগামী একটি বাস বিশ্বরোড মোড়ে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি মোটরসাইকেল ও ভ্যানকে চাপা দেয়।
এতে এক কলেজছাত্রীসহ ৭ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ওই কলেজছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওবায়দুল নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
হতাহতরা পথচারী, ভ্যানযাত্রী এবং মোটরসাইকেল আরোহী। এ ঘটনায় বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি আব্দুল মান্নান ফরাজী।
এসময় ফকিরহাট থানার ওসি আনিসুর রহমান ও তার সহযোগিরা আমাদের বাধা দেয়। ওসি নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা এসময় শিক্ষক-ছাত্রীদের সাথে সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং লাঠি ও রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করে।
পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আমরা রাস্তার ওপর বসে শান্তিপূর্ণ ভবে সড়ক অবরোধ করে রাখি। পরে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে আমরা অবরোধ তুলে নেই।
বাগেরহাট সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিদুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীর মৃত্যর খবরে কলেজের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মহাসড়কে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়।
পরে দুর্ঘটনায় দায়িদের আটক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে তারা। এতে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
দিলে তারা সড়ক করে নেয়। পরে ওই সড়কে যান চলাচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।