উৎসবের সাজে সাজানো হচ্ছে বাগেরহাটের ঈদ গাহগুলো। দীর্ঘ এক মাসের সংযম সাধনার শেষে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর।
আত্মিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে সব সংকীর্ণতা ও ভেদাভেদ ভুলে ঈদুল ফিতর বিশুদ্ধ আত্মায় জীবনকে নতুন করে সাজানোর অঙ্গীকারের উৎসব।
আনন্দময় এ উৎসবকে স্বাগত জানাতে গোটা দেশের ন্যায় প্রস্তুত বাগেরহাটবাসী। পবিত্র ঈদুল ফিতরে জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে।
ঈদের দিন সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে বৃহৎ এই ঈদ জামাতে দেশী-বিদেশী পর্যটনসহ কয়েক হাজার মুছল্লি অংশ নিবেন।
জেলার প্রথম ও প্রধান এই জামাতে পর আরো দু’টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে এখানে। ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে ৮টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায়।
এ বছর ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনিটি জামাতে প্রায় অর্ধলক্ষ মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
শহরের অনান্য প্রধান ঈদ জামাতের সময় সূচি–
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল সোয়া ৮ টায় বাগেরহাট আলিয়া মাদ্রাসা ঈদ গাহ ময়দানে শহরের অন্যতম বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ৮টা ১৫ মিনিটে খারদ্বার ঈদ গাহ ময়দান, মিঠা পুকুর পাড় জামে মসজিদ, পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদ; সকাল সাড়ে ৮টায় হয়রত খানজাহানের (র.) দরগা (মাজার), ফলপট্টি জামে মসজিদ, খানজাহানিয়া বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, নতুন কোর্ট মসজিদ; সকাল পৌনে ৯টায় রেলওয়ে জামে মসজিদ, সরুই হাজী আরিফ মসজিদ ময়দান, সোনাতলা আউলিয়াবাদ মসজিদে ঈদুল ফিতরের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদকে কেন্দ্র করে পটকা ও আতসবাজি না ফুটানো, রেকর্ডার ও মাইকের মাধ্যমে উচ্চ স্বরে গান না বাজানো এবং কোমল পানীয় বিক্রির নামে রাস্তার পার্শ্বে অস্থায়ী স্টল তৈরি না করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জেলা তথ্য অফিস থেকে জানান হয়েছে।
এছাড়া ঈদুল ফিতরের পবিত্রতা রক্ষা এবং যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
অন্যদিকে, ঈদ উপলক্ষে সকল সরকারি ও বে-সরকারি ভবনে জাতীয় পতাক উত্তোলন, জাতীয় পতাকার পাশাপাশি “ঈদ মোবারক” খচিত বাংলা ও আরবী হরফের পতাক উত্তলন। সরকারি শিশু সদন, এতিমখানা, হাসপাতাল ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং ঈদের দিন রাতে সরকারি ও বে-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।