এরইমধ্যে জেলার ৫ উপজেলার ৭টি পয়েন্টে ৫১০ মিটার বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। এছাড়া জেলার ৩১৮ কিলোমিটার বেরি বাঁধের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় আরো প্রায় ৬০ কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধ দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোনো সময়ে ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েশ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টিপাত ও নদীর ঢেউয়ের আঘাতে বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোরেলগঞ্জ, মোল্লাহাট ও রামপাল উপজেলায় ৭টি পয়েন্টে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া জেলায় ৬০ কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বাঁধ রক্ষায় কাজ শুরু না হলে ভাঙনের মুখে এসব স্থান থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে নদী তীরের গ্রামগুলো প্লাবিত হবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনদ্দীন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ভাঙন কবলিত শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এবং সদর উপজেলার রাধাবল্লব ও যাত্রাপুর এলাকার বাঁধে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সর্তকতার সঙ্গে নজরদারি করা হচ্ছে যাতে বেরি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে না পারে। এছাড়া ভাঙনরোধে লিখিতভাবে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।