বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলিতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৮ জন গুলিবিদ্ধ।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য উদয়পুর গ্রামের কামরুল ও আস্তাইল গ্রামের ইউপি সদস্য মকুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এরা হলেন- সফিকুল ইসলাম (২৫), ফারুক মোল্লা (৫০), মরিয়ম বেগম (৪০), রবিউল মোল্লা (৪০), সফিক মোল্লা (২৬), আরমান শরীফ (৩২), সাহেদ শরীফ (৬৫), মাহাবুব (৩২), সাদ্দাম (২৮), মিরাজ (৩২), আকবর হোসেন (৩০), এমদাদ মোল্লা (৪০), মিরাজ মোল্লা (৪৫), হাফসি বেগম (৩০), আকরাম শেখ (২০), আজাদ মোল্লা (৩২), ইলাহি বিশ্বাস (৩৮), আবুল কালাম আজাদ (৫২), বাবর মোল্লা (২৮), নান্নু মোল্লা (২৮), জালাল মোল্লা (২০), সুখ মিয়া (২৭), নাদের মোল্লা (৩০), মিরাজ শেখ (৩৬), আবু সিদ্দিক (২৫), জামাল শরীফ (৩৫), মিন্টু মুন্সি (৩৫), আব্দুল গাজী (১৬), জাকারিয়া (২৮), টুকু শরীফ (৪৬), লিয়াকত শরীফ (৩৮), সুরমান খান (৫৮) ও আবজাল মোল্লা (৪৭)।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উদয়পুর গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ও আস্তাইল গ্রামের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মকুর মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
এদিকে, কামরুল মোল্লার চাচাতো ভাই রইস মোল্লা এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামে এলে মকুর লোকজন মেয়েটিকে পুলিশে দিতে উদ্দত হন।
“এ নিয়ে দুই পক্ষ লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ঢিলের আঘাতে ও ছররা গুলিতে উভয় পক্ষের ৩৩ জন আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
ওসি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আহত ৩৩ জনের মধ্যে আটজনের মাথায়, বুকে ও পিঠে গুলি লেগেছে।”
গুলিবিদ্ধি আটজনসহ মোট ১৩ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।