স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
টার্গেট কিলিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাগেরহাটে সাধারণ মানুষদের নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ‘ডিফেন্স পার্টি’ গঠন করছে প্রশাসন।
দেশজুড়ে হত্যা-হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে বাগেরহাটে ডিফেন্স পার্টির হাতে জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম ও পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা বাঁশি এবং বাঁশের লাঠি তুলে দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জুন) বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া গ্রামের কালি মন্দির মাঠে এক জনসচেতনতামূলক সভা থেকে প্রশাসন এই কার্যক্রম শুরু করেছে।
পুলিশ বলছে, বাগেরহাট জেলার নয় উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়নের ৬৭৫ ওয়ার্ডে ‘ডিফেন্স পার্টি’ গঠন করা হবে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ, মসজিদের ইমাম, পুরোহিত থাকবে। প্রত্যেক কমিটিকে বাঁশের লাঠি ও বাঁশি দেওয়া হবে।
‘ডিফেন্স পার্টি’র সদস্যরা এলাকায় কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি দেখলে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবে।
প্রতীকী হিসাবে বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবকদের বাঁশি ও লাঠি দেওয়া হয়েছে।
কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যাদের নিয়ে ডিফেন্স পার্টি গঠন করা হয়েছে তারা যার যার এলাকায় পালাক্রমে পাহারা দেবে। এতে গুপ্ত ঘাতকরা ভয়ে এলাকায় আসতে পারবে না। আবার এলাকায় অপরাধও কমে যাবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থনে টার্গেট কিলিং সংগঠিত হওয়াতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। জেলার নয় উপজেলায় অন্তত ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। বাগেরহাটে যাতে কোন টার্গেট কিলিং সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করে ‘ডিফেন্স পার্টি’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, “জনতা সতর্ক থাকলে কেউ অপরাধ সংগঠিত করে পালাতে পারবে না। তবে কাউকে আইন নিজ হাতে তুলে না নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে একইভাবে মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় ডিফেন্স পার্টি গঠন করেছে প্রশাসন।
তবে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকতে এধরণের একটি বাহিনী তৈরি এবং তাদের হাতে লাঠি তুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিশ্লেষকদের।
এসএইচ/এসআই/বিআই/১৭ জুন, ২০১৬