স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন এলাকার বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট ও পিলপিলের ডিম থেকে ৪৭টি ছানার জন্ম হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ডিম ফুটে সতেজ ছানাগুলোর জন্ম হয়।
বর্তমানে করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রে লবন পানির প্রজাতির (সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল) দুটি মেয়ে কুমির এবং একটি পুরুষ কুমির রয়েছে। কেন্দ্রের পরিচর্যাকারীরা এদের নাম দিয়েছেন পিলপিল, জুলিয়েট ও রোমিও। এদের মধ্যে পিলপিলের বয়স ১৯, জুলিয়েট ও রোমিওর বয়স ২৮ বছর।
এই কেন্দ্রে ভারত থেকে আনা মিঠা পানির প্রজাতির (মার্শ ক্রোকোডাইল) দুটি স্ত্রী কুমিরও রয়েছে। এদের প্রতিটির বয়স ১৮ বছর করে।
এসব ডিম সংগ্রহ করে পৃথকভাবে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। পরিচর্যাকালে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়।
৮৪ দিন পর রোববার ভোর থেকে বাচ্চা ফুটতে শুরু করে।
পিলপিলের ডিম থেকে ২৭টি এবং জুলিয়েটের ডিম থেকে ২০ টি সতেজ ছানা জন্ম নিয়েছে। তবে ভ্রূণের মৃত্যু এবং অনিষিক্তের কারণে ৫১টি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।
করমজল কুমির প্রজনন ও লালন কেন্দ্রে বর্তমানে ভারত থেকে আনা মিঠা পানির প্রজাতির (মার্শ ক্রোকোডাইল) দুটি স্ত্রী কুমিরও রয়েছে। এদের প্রতিটির বয়স ১৮ বছর করে।।
লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের গড় আয়ু ৮০ থেকে ১০০ বছর।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের নোনা পানির কুমির সংরক্ষণ এবং প্রজনন বৃদ্ধি লক্ষ্যে ২০০২ সালে বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ৮ একর জমির ওপর নিজেস্ব উদ্যোগে দেশের একমাত্র সরকারি এই কুমির প্রজনন ও লালন পালন কেন্দ্র গড়ে তোলে।
করমজল কেন্দ্রের হিসাবে, রোববার জন্ম নেয়া ৪৭টি ছানাসহ এই কেন্দ্রে এখন কুমিরের সংখ্যা মোট ৩০২টি।
এইচ/এসআই/বিআই/১৪ আগস্ট, ২০১৬