স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাটে এসে পঞ্চদশ শতকের অনন্য স্থাপনা ‘ষাটগম্বুজ মসজিদ’ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট জাদুঘর ঘুরে দেখে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক এই স্থাপনা যেভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে তা বিশ্বের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ষাটগম্বুজ মসজিদ পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ। ষাটগম্বুজসহ বাগেরহাটের পুরাকীর্তিগুলোয় সংস্কৃতি বৈচিত্রের নিদর্শন রয়েছে। ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে আসতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা- ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করতে সকালে বাগেরহাটে আসেন বার্নিকাট।
বার্নিকাট বলেন, সব পুরাকীর্তি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তার আদি রূপ বজায় রাখার বিষয়টি জরুরি।
বাগেরহাট শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোকিটার পশ্চিমে ঘোড়াদিঘির পূর্ব পাড়ে এ মসজিদটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে তালিকাভূক্ত করে।
সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান-উল-আযম উলুঘ খান-ই-জাহান সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাতাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন। ধারণা করা হয় খান জাহান নির্মিত মসজিদটি সে সময় বৈঠকের জন্য দরবার হল হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। তুঘলকি ও জৈনপুরী নির্মাণশৈলীতে নির্মত মসজিদটির পূর্ব দেয়ালে ১১টি বিরাট আকারের খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে।
ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট জাদুঘর পরিদর্শন শেষে সেখানে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন বার্নিকাট।
এসময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশে ইউএসএইডের পরিচালক জেনিনা মেরুজেলস্কি, উপ পরিচালক টমাস লাভ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন।
ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত বাগেরহাট ও খুলনার বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে বাগেরহাট ত্যাগ করেন।
এজি/এসআই/বিআই/০১ ডিসেম্বর, ২০১৬