অলীপ ঘটক, চিফ নিউজ এডিটর | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরসহ ৫ জনের মৃত্যুর দায়ে বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে বাগেরহাটসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে জেলা ও বিভাগের সব রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘট পালনকারীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিআরটিসি’র বাস, মাইক্রবাস ও প্রাইভেট কার চলাচলে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মঘটের কারণে ভোর থেকে শত শত যাত্রী বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়ে। নিদৃষ্ট গন্তব্যের গাড়ি না পেয়ে অনেকেই ভ্যান রিকসা ও ছোট ছোট যানে করে গন্তব্যে যেতে চেষ্টা করছে।
হরতাল-অবরোধের সময়ও বিআরটিসির বাস চলে। কিন্তু এখন তাও চলছে না। আজ যেতে না পারলে একদিকে আর্থিক ক্ষতি হবে অন্যদিকে চিকিৎসকের দেওয়া সিরিয়াল বাতিল হয়ে যাবে। এখন কি করে বেনাপোলে পৌঁছাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী মাহাফুজ আহম্মেদ বলেন, দুই দিনের ছুটিতে পরিবার নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। এখন ধর্মঘটের কারণে ফিরতে পারছিনা। ঢাকা যাওয়ার জন্য লঞ্চ বা ট্রেনের মতো কোন বিকল্প মাধ্যমও নেই।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর বলেন, আদালত প্রচলিত আইনের ধারা পরিবর্তন করে বাসচালক জামির হোসেনকে সাজা দিয়েছেন। তাই শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে বাগেরহাটের ১৬টি রুটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। ধর্মঘটে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সব ধরনের সহিংসতা রোধ করতে পুলিশের একাধিক দল সড়কে টহল দিচ্ছে।
এইচ/এসআই/বিআই/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭