স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
রোববার (১ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাটের স্বাধীনতা উদ্যানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছে ‘ছোট সুমন’, ‘ডন ‘ ও ‘ছোট জাহাঙ্গীর’ বাহিনীর ২৭ সদস্য। এসময়, তারা ২৮টি অস্ত্র ও ১ হাজার ৮১ রাউন্ড গুলি জমা দেয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-৩ আসনের তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট-২ আসনের অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিজিবি খুলনা রেঞ্জের প্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেক আল মামুন, র্যাব-৬ এর সিইও খন্দকার রফিকুল ইসলাম, র্যাব-৮ এর সিইও হাসান ইমন আল রাজীব, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দস্যুরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাদের ব্যবহৃত ১৩টি একনলা বন্দুক, তিনটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, চারটি ২২ বোর বিদেশি রাইফেল, সাতটি পাইপগান, একটি বিদেশি ওয়ানশুটারগানসহ ২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়।
ছোট সুমন বাহিনীর প্রধান মো. সুমন হাওলাদার (২৪), সদস্য মো. লুৎফর শেখ (৪০), মো. ভট্টো বয়াতি (২৮), মো. আব্দুস সামাদ মোল্লা (২৬), মো. রিয়াজ শেখ (২৮), মো. ইয়াছিন শেখ (২৯), মো. তরিকুল হাওলাদার (২৩), মো. সিদ্দিক হাওলাদার (৩৯)।
মেহেদী হাসান ওরফে ডন বাহিনীর প্রধান মো. মেহেদী হাসান ডন (৩২), সদস্য জয়দেব মণ্ডল (৩৫), মো. খলিলুর রহমান (৪৫), মো. সাইফুল্লাহ (২৯), মো. আবুল হোসেন ইসলাম (২৭), মো. আজিজুর ইসলাম (২৭), জয়ন্ত বিশ্বাস (৩০), মো. শাহজাহান (৪২), মো. আব্দুর রহমান শেখ (২৮), মো. মাহমুদুল হাসান (২৬)।
এদের সবাইকে ২০ হাজার টাকা ও একটি করে মোবাইল ফোন দেয় র্যাব।
২০১৬ সাল থেকে এই আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়ে গেল দুই বছরে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের ২০টি দস্যু বাহিনীর ২১৭ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করলেন। ইতিমধ্যে, এদের একটা বড় অংশকে পুনর্বাসিত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
রোববার আত্মসমর্পণ করা ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান ছোট জাহাঙ্গীর বলেন, সুস্থ ও সাধারণ জীবনে ফিরে যেতে চাই। এইভাবে দস্যুতা করতে চাই না। আমরা আগে যেভাবে সুন্দর-স্বাভাবিক জীবনে ছিলাম সেভাবে ফিরে যেতে চাই।
আত্মসমর্পণের প্রভাব কেমন এমন প্রশ্নে র্যাব-৮ এর মেজর সোহেল রানা বলেন, বর্তমানে আমরা জেলে ও স্থানীয় মানুষজনের কাছে জানতে পেরেছি এখানে যে দস্যুদের উৎপাত ছিলো তা অনেক কমে গিয়েছে।
এইচ//এসআই/বিআই/০১ এপ্রিল ২০১৮