ফিশিং ট্রলার, বিদেশি মদ ও মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
শনিবার (১১ আগস্ট) আটক চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদ থেকে তাদের আটক করা হয়। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাতে তাদের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার ঝাড়খালীর মাষ্টারপাড়া গ্রামের কৃষ্ণপদ সানার ছেলে রনজিৎ সানা (৩৮), বৃদ্ধাবলী পাড়া এলাকার হরেন মজুমদারের ছেলে সত্যজিৎ মজুমদার (২১), বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার ধাবরী গ্রামের কেশবলাল দাসের ছেলে পরিমল দাস (৫৮) এবং ঝালকাঠী জেলার শংকর ধবল গ্রামের মধুসুদন হালদারের ছেলে রমেশ চন্দ্র হালদার (৬৮)।
আটক চারজনই নিজেদের জেলে বলে দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গভির রাতে ট্রলারটি নিয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের আওতাধীন বলেশ্বর নদের মাঝেরচর এলাকা থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ট্রলারটি আটক করে।
এ সময় ট্রলারটিতে তল্লাশী চালিয়ে থেকে ৬ বোতল বিদেশি মদ ও মাছ ধরার বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের সুপতি স্টেশনের পেটি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ট্রলার এবং ভারতের দুই নাগরিকসহ ওই চারজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, পিরোজপুরের পরিমল দাস ভারতের ওই জেলেদের কাছ থেকে সেদেশের এফবি মিন্টু নামের ফিশিং ট্রলারটি কিনেছে।
ভারতীর ওই দুই জেলে সমুদ্র পথে গোপনে ট্রলারটি পৌঁছে দিতে সুন্দরবনের ওই এলাকায় নিয়ে আসে বলে দাবি করেছে।
শরণখোলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় কেস্টগার্ডের পেটি অফিসার হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, সরকারি শুল্ক ফাঁকি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এইচ//এসআই/বিআই/১১ আগস্ট ২০১৮