বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর ডাকা একদিনের হরতাল গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
প্রতিটি স্থানে ছিল হরতাল সমর্থনে অগণিত প্রতিবাদী মানুষের ঢল। হরতালে তারা বিভিন্ন শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করে। ডাঃ ইমরান এইচ সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে তারা। ডাঃ ইমরান এইচ সরকারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এসময় তার কুস-পুত্তলিকা দাহ করা হয়।
অবরোধের প্রায় প্রতিটি স্থানে পুত্তলিকা প্রদাহের ঘটনা দেখা যায়। খুলনা-মংলা মহাসড়ক ও বাগেরহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে হরতাল চলাকালে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। এমনি কি ভ্যান, বাইসাইকেলওি ছিল নগন্য। নোয়াপাড়া হতে কাঠালতলা সড়কে প্রায় অর্ধশত পরিবহন আটকে থাকে। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পথের মধ্যে সময় কাটায়। শুধুমাত্র মহাসড়ক নয়, গ্রামগজ্ঞের ভিতরের ছোট ছোট রাস্তাও অবরোধ করা হয়।
এসময় চুলকাঠি ও কাটাখালী হয়েছে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। মাওলানা আলহাজ্ব আঃ মাবুদের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আঃ সবুর, বাবুল ফকির, নাসির শেখ, ফকির আল মামুন টিপু, জাকির শেখ,মাছুম ফকির, হাকিম হাজরা, মাহফুজুর রহমান সেন্টু, সালাম, আপেল, আলমগীর, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, নিজাম উদ্দিন, ফরিদ, ফিরোজ ফকির, আলী আশ্বাফ প্রমুখ।
হরতালে মহাসড়কের উপর জায়নামাজের পাটি ও কাপড় বিছিয়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করে।
এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের বিস্কুট, মুড়ি, পাউরুটি, পানি, স্যালাইন, কলাসহ বিভিন্ন ধরণের শুকনা খাবার সরবরাহ করা হয় করতে দেথাগেছে। হরতাল চলাকালীন সারা দিন ধরে চুলকাঠি বাজার ছিল অচল। খোলা ছিলনা একটি চায়ের দোকানও। এলাকার ব্যাংক, অফিস ছিল নামমাত্র খোলা।
এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ছিল বন্ধ। হরতাল চলাকালে বিভিন্ন স্থানে চুলকাঠি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ, কাটাখালী হাইওয়ে থানার পুলিশ, ফকিরহাট থানা পুলিশ ও বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ বা আওয়ামীলীগের কোন নেতা-কর্মীরা হরতালকারীদৈর সাথে কোন ধরণের আক্রমাত্মক আচরণ না করায় কোথাও কোন অপ্রীতকর ঘটনা ঘটেনি। তবে নজীরবিহীন এ হরতালের বিপক্ষে কোন লোক রাস্তায় দেখা যায়নি এসব এলাকায়।