প্রচ্ছদ / খবর / রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বাগেরহাটে আলোচনা সভা

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বাগেরহাটে আলোচনা সভা

বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে সুন্দরবনের কোন বিকল্প নাই।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন বিনাশী বাগেরহাটের রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বাগেরহাটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ আলচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুধ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সভায় বক্তারা রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবীতে আগামী ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বাগেরহাট-সুন্দরবন লংমার্চ সফল করতে  সর্বস্তরের জনগনের প্রতি আহ্বান জানান।
তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা শাখার আহবায়ক রনজিৎ চট্টোপধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুল রশিদ ফিরোজ, কল্লোল মোস্তফা, ফকরুল হাসান জুয়েল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় স্বার্থের বিষয় বিবেচনা না করে সম্পূর্ণ অনিয়ম ও বে-আইনী ভাবে ভারতের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। তারা সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, এসিড বৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ, কৃষি, মৎস্যসহ নানা ক্ষেত্রে ভয়ানক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন,  ভারতের আইনে বন অথবা লোকালয় থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে এই ধরনের কোন বিদ্যুৎ প্রকল্প করার বিধান না থাকলেও, সেই ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপেরেশন এ দেশে এসে সুন্দরবনের মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবন ধ্বংসকারী এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইতি পূর্বে সুন্দরবন রক্ষায় একসাথে কাজ করার ঘোষনা দিয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দেশের সরকার এক সাথে সুন্দরবন ধ্বংসের উদ্যোগ নিচ্ছে। তাই শুধু বাঙলাদেশ নয় ভারতীয় জনগনকেও এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানর আহবান জানান তিনি।
সভা থেকে এই লংমার্চের আগে প্রধানমন্ত্রী এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চাইলে দেশবাসি ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তা প্রতিহতে ঘোষনা দেন নেতারা।
সভায় বক্তারা স্থানীয়দের সচেতন করতে আত্মঘাতি এ প্রকল্প বিভিন্ন ক্ষতির দিক ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

৩১ আগষ্ট ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।

About ইনফো ডেস্ক

পূর্বের মায়ের বিকল্প মা, সুন্দরবনের বিকল্প সুন্দরবন
পরের বাগেরহাট খানজাহান আলী কলেজের নবীণ বরণ