তিন দিনের ব্যাবধানে আবারো বাংলাদেশী জলসীমায় অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ এবং মৎস আহরণের অভিযোগে ভারতীয় ট্রলারসহ জেলেদের আটক করেছে নৌবাহিনী। এবার আটক হয়েছে ৩টি ফিসিং ট্রলারসহ ৪৪ জেলে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) নিজামুল হক মোল্যা বাগেরহাট ইনফোকে নিশ্চিত করেছেন আটককৃতদের সবাই ভারতীয় নাগরিক।
বাগেরহাটের মংলাস্থ নৌবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকায় টহলের সময় নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ গোমতি তাদের আটক করে।
গোমতি জাহাজের কমান্ডার জয়নুল আবেদিনের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছধরা ট্রলার নিয়ে তারা মাছ শিকার করছিলেন। এসময় তাদের আটক করা হয়।
মংলা থানার অফিসার ইন চার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের মংলা নৌঘাটিতে আনা হয়েছে। তাদের মংলা থানায় হস্তান্তরের জন্য সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ফোন করা হয়। পরে তাদের কে মংলা থানায় হস্তান্তর কারা হয়েছে।
তাৎক্ষনিক ভাবে এর চেয়ে বেশি আর কিছু জানাতে পারেনি তিনি।
উল্লেখ, গত বছরের (২০১২ সালের) ৪ নভেম্বর দুটি ট্রলারসহ ২৬ ভারতীয় জেলে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার কালে নৌ বাহিনীর হাতে আটক হয়। তবে, মামলা শেষ হবার আগেই ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।
অন্যদিকে ২০১০ সালের ৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকার কালে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুটি ট্রলারসহ ২১ বাংলাদেশী জেলেকে আটক করে সে দেশের কোস্টগাড।
পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত তাদেরকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫১ হাজার ৫০০ ভারতীয় রূপী জরিমানা করে। এদের মধে ২ বাংলাদেশী জেলে মারা যায় সে দেশের আলীপুর কারাগারে। আর সাজা শেষে রোববার (২৩ ডিসেম্বর ) রাতে যশোরের বেনাপোল সিমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন বাকি ১৯ বাংলাদেশী জেলে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।