বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এ সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ল বাগেরহাটের স্থানীয় প্রশাসনের।
সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজসহ ঐতিহাসিক খলিফাতাবাদ নগরীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত খানজাহান (রহঃ) এর সময়কালের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থাপনাটির ধ্বংসাবশেষ (ঢিবি) খুঁড়ে তুলে ফেলা হচ্ছে ইট ও পাথরের ভিত্তি। বিষয়টি তুলে ধরে বাগেরহাট ইনফো-তে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার বাগেরহাট ইনফো ডটকম ‘হারিয়ে যাচ্ছে ‘সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের’ স্মারক !’ শিরনামে এবিষয়ে একটি বিশেষ অনুসন্ধানি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এর পর সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের গেজেট ভুক্ত প্রত্নতত্ত্বিক এলাকায় খনন কালে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- শহরের খারদ্বার এলাকার মনিরুজ্জামান মোল্লার ছেলে বুলবুল মোল্লা (৩৪), জনি (২২), রুবেল শেখ (২৫), নাসির শেখ (২৫), বাচ্চু শেখ (৪৫) ও জিহাদুল খান (২২)।
বাগেরহাট ষাটগম্বুজ যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ‘বড় আজিনা’ সম্ভবত ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। খান জাহানের সময়কালের যশোরের বারোবাজারের ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট সাতগাছিয়া মসজিদের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে এর প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে।
বাগেরাহট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আযম খানবাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের পক্ষে বাগেরহাট ষাটগম্বুজ যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ঢিবিটি রক্ষায় শুক্রবার থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। শনিবার সকালে সংবাদ প্রকাশের পর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী তাকে ফোন করে প্রত্নসম্পদ ধ্বংসের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।
এঘটনায় বিকেলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব হোসেন বাদী হয়ে পুরাকীর্তি আইনে আটকদের নামে বাগেরহাট মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করেছেন।