আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে বাগেরহাটের ৮ উপজেলার ২৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই।
ফলে ভোটের আগেই জেলার ২৬ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ স্ব স্ব ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তারা পাঁচটি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ১০জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন।
এর আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলার ১৯টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপরীতে কোন মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি।
ফলে ঐ ১৯টি ইউনিয়নের সাথে বাছাইয়ে বাদ পড়া ৭টি ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একক প্রার্থী হিসেবে জয়ের পথে রয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, যাচাই-বাচাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি আপিল দাখিল করতে পারবেন। আপিল শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আপিল নিষ্পত্তির পারও আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
‘মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল শুনানি ও বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।’
ঘষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে জেলার ৯ উপজেলার ৭৪ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ ২২ মার্চ। ৩ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর এসব ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারনা শুরু হবে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিলো ২১৫টি। এর মধ্যে যাচই বাছাই শেষে ২০৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে ২ হাজার ৭৬৬ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৭৬ জন প্রার্থীর। যাচাই বাছাই শেষে ইউপি সদস্য পদে ২ হাজার ৪০৮ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৩৬ জন প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছেন।