
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দিন দিন বেড়েই চলছে নিবন্ধন বিহীন মোটর সাইকেলের সংখ্যা।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের সংখ্যা।
উপজেলার বিভিন্ন রুটে দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধন বিহীন মটর সাইকেল চলাচল রোধে প্রশাসনিক কোন অভিযান না থাকায় অধিকাংশ মোটর সাইকেল মালিকরা নিবন্ধনের তোয়াক্কা করছে না। ফলে মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জান যায়, উপজেলা সদরসহ মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা নব্বইরশি ষ্ট্যান্ড, এস.এম কলেজ মোড়, সন্ন্যাসী ষ্ট্যান্ড, সোলমবাড়ীয়া ষ্ট্যান্ড, হাসপাতাল সংলগ্ন ষ্ট্যান্ড, পোলেরহাট ষ্ট্যান্ড, দৈবজ্ঞহাটী ষ্ট্যান্ড, মোরেলগঞ্জ বাজার ব্রিজ সংলগ্ন বারইখালী ষ্ট্যান্ড ও পুরাতন থানা সংলগ্ন ষ্ট্যান্ড এলাকায় নিবন্ধন বিহীন মোটর সাইকেলের চলাচল সবচেয়ে বেশী।
বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত নিবন্ধন বিহীন মোটর সাইকেলের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। আর এসব মোটর সাইকেলে নির্ধারিত নম্বর প্লেটের স্থানে অনটেস্ট, সাময়িক, এএফআর (AFR), চেষ্টায় আছি ইত্যাদি লিখে মোটর সাইকেল চালকরা সমগ্র উপজেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
যদিও বেশিরভাগ চালকের নূন্যতম ট্রাফিক জ্ঞান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট নেই। বিষয়টির প্রতি প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় ইদানিং অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরকেও বেপরোয়া ভাবে গাড়ী চালাতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলগুলোর চালকরা কোন কোন গাড়ীতে ৩/৪জন করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন রুটে নির্বিগ্নে চলাচল করছে।
ফলে অনাভিজ্ঞ চালকের দ্বারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। অবাধে নিবন্ধন বিহীন মোটর সাইকেল চলাচলে মাদক পাচারসহ অপরাধ বাড়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অবিলম্বে এসব মনিটরিং এবং নিয়ন্ত্রনে কর্তিপক্ষকে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।