প্রচ্ছদ / খবর / মোরেলগঞ্জে পানগুছি’র ভাঙনে নদীগর্ভে রাস্তা

মোরেলগঞ্জে পানগুছি’র ভাঙনে নদীগর্ভে রাস্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

পানগুছি নদীর ভাঙনে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রেণিখালী গ্রামের একটি সড়ক ও স্থানীয়দের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙনে একটি গ্রামীণ রাস্তাসহ ৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শনিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রেণিখালী গ্রামের দৈবজ্ঞহাটী সাব-পোল্ডারের ওই ভাঙনের ফলে জোয়ারের সময় পার্শবর্তি গ্রাম প্লাবিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রোববার (২১ জুলাই) ভাঙন কবলিত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামানসহ কর্মকর্তারা। নদী গর্ভে বিলীন হওয়া সাব-পোল্ডারের (বাঁধ) ভাঙা অংশ দিয়ে যাতে গ্রামগুলো প্লাবিত না হয় সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০০-১৫০ মিটারের একটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কথা জানিয়েছে পাউবো।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছর ধরে পানগুছি নদীর ওই অংশে বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বাড়লে ভাঙছে। শনিবার দৈবজ্ঞহাটী সাব-পোল্ডারের শ্রেণিখালী গ্রামের যে অংশটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে তা বিষখালী থেকে হরগাতির রাস্তার। এতে গ্রামীণ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল ব্যহত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসীন্দা মো. মনির হাওলাদার বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আকস্মিক আমাদের বাড়ির সামনের পুকুর, গাছপালা ও সমনের রাস্তাসহ জমি হঠাৎ নদীর মধ্যে দেবে যায়। যাতে বড় বড় মেগনি গাছ, খেজুর গাছসহ অনেক গাছ নদীর মধ্যে ডুবে গেছে। হঠাৎ এ ভাঙনে আমরাসহ আশপাশের সবাই এখন আতঙ্কে আছি।

শ্রেণিখালী গ্রামের মিজানুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাঙনের ফলে বাঁধের ওই অংশ দিয়ে এলাকায় লবন পানি ঢুকছে। জমিতে লবন পানি ঢোকা ঠেকানো না গেলে এবার মাঠের জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়বে।

বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী খান বলেন, বিভিন্ন সময় নদী ভাঙনে এই গ্রামের জমি পানগুছিতে বিলীন হয়েছে। গেল কয়েক বছরে ভাঙনে দোনা ও শ্রেণিখালী গ্রামের অন্তত ১০ একর জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ওই এলাকা ফসলী জমি লবনাক্ততার হাত থেকে রক্ষা করতে এবং ভাঙন রোধে দ্রুত টেকসই ও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান বলেন, পানগুছি নদীর ওই অংশের ভাঙন রোধে এডিপিতে নদী তীর সংরক্ষণের একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। তা হলে ভাঙন রোধে স্থানীয় কাজ হবে। আর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে যাতে পানি প্রবেশ না করে সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

এসএইচ//এসআই/বিআই/২১ জুলাই, ২০১৯

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ

Exit mobile version