১৬ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার। দ্রোহ, প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৫৯তম জন্মদিন।
তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৯৫৬-১৯৯১) তার শিল্পমগ্ন প্রতিটি উচ্চারণে তুলে ধরেছেন মাটি ও মানুষের প্রতি আমূল দায়বদ্ধতা। যা তাকে দিয়েছে আধুনিক বাংলার অন্যতম কবির স্বীকৃতি।
১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর পিতার কর্মস্থল বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জের রেডক্রস হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা কবিতায় অবিস্মরণীয় এই কবি।
অকাল প্রয়াত কবি তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রাম। নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে; হয়ে উঠেছিলেন তাদেরই কণ্ঠস্বর।
‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন- ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’।
যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। শিল্পমগ্ন এই উচ্চারণ কবিকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি।
বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠেখালিতে বেড়ে ওঠা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুলল্লাহ’র ৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।
দিনটি স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ (মিঠেখালি) শুক্রবার সকালে কবির গ্রামের বাড়ি মিঠেখালিতে শোভাযাত্রা, তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করেছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে মিঠাখালিতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে কবির স্মরণে আলোচনা ও রুদ্র সংগীত অনুষ্ঠিত হবে।
রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও কবির ছোট ভাই সুমেল সারাফাত বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে কবি রুদ্র সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধ শতাধিক কালজয়ী গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উচ্চারিত হয়েছে। এ ছাড়াও স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল উচ্চকিত। ১৯৯১ সালের ২১ জুন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More