ডেস্ক রিপোর্ট, বাগেরহাট ইনফো ডটকম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি।
পরবর্তি দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ওই দুই দিনও সাধারণ ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে। খবর প্রথম আলো।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আগামী ৭ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত নতুন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে এবার বলা হয়েছে, সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসগুলো প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। এ বিষয়ে তাদের অধিক্ষেত্রের কাজ পরিচালনায় নির্দেশনা জারি করবে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ( কর্ম এলাকা) ত্যাগ করতে পারবেন না।
এবারের ছুটি নিয়ে গত ২৬ মার্চ থেকে মোট ছয় দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। আর পঞ্চম দফায় ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

নতুন ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে এই ছুটির সময় জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা নির্দেশনা (স্বাস্থ্যবিধি) কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
তবে জরুরি সেবা যেমন ;বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর ( স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনের সঙ্গে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল ইত্যাদি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।
কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম ( প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভুত থাকবেন।
এ ছাড়া আগের মতোই বলা হয়েছে, ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প কারখানা, কৃষি ও উৎপাদন এবং সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো এবং গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে। সাধারণ ছুটির সময় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।
তবে রমজান, ঈদ, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/০৪ মে, ২০২০
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More