বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এ সংবাদ প্রকাশের পর গা ঢাকা দিয়েছে কথিত রিপোটর্স ক্লাবের জুয়াড়িরা।
বিছিন্ন কারা হয়েছে ক্লাবের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও। আর এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকাবাসীর মাঝে ।
তবে, বাগেরহাটের মংলা পৌরসভাধীন ট্রেডর্স মসিজদ রোডে অবস্থিত সমালোচিত ভবটির গায়ে এখনো সাটানো আছে মংলা রিপোটার্স ক্লাব নামের সাইন বোর্ডটি। রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়েও দেখা গেছে বিতর্কিত ওই সাইন বোর্ডটি।
তবে এ ব্যাপারে মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোন মন্তব্য করতে রাজী হন নি।
সম্প্রতি মংলা রিপোটার্স ক্লাবে জুয়া খেলা নিয়ে বাগেরহাট ইনফোসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন এবং সর্বস্তরের মানুষের চোখে পড়ে বিষয়টি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সামাজের ভিন্নস্তর থেকে নিন্দা ও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীরা জানান, গত ৬মাস ধরে মংলার ট্রেডার্স মসজিদ রোডে একটি বিল্ডিংয়ের দোতলায় মংলা রিপোটার্স ক্লাবের নাম সাটিয়ে চলছিলো জুয়া, মদ ও গাজার আসর। এ জুয়া ঘরের প্রত্যক্ষ মদ দদাতা ছিলো আবুল হাসান নামে কথিত এক সাংবাদিক। তিনি এটি (কক্ষটি) জুয়াড়িদের কাছে উপভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতেন।
এছাড়া এ ক্লাব ঘরে চুরি করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে আরো অনেক অবৈধ লাইন দিয়ে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। আর ভবনটির গায়ে মংলা রিপোটার্স ক্লাব সাঁটিয়ে শহর-বন্দর-জঙ্গলে (সুন্দরবনে) তিনি চাঁদাবাজীতে হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য।
এরপরে গত ২৩জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি ছাপা হয়। নড়েচড়ে বসেন সবাই।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে মংলা রিপোটার্স ক্লাবের অবৈধ লাইন কেটে দিয়েছে। শুধু তাই নয় ওই অবৈধ লাইন দিয়ে দেওয়া উপ লাইনগুলিও কেটে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মংলায় পল্লি বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী এইচ এম ফরাদ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির পর এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More