ফকিরহাট সহ আশপাশ এলাকায় প্রকৃতির সুন্দরতম প্রাণী পাখি নিধন চলছে যেন অপ্রতিরোদ্ধ ভাবে।
ফকিরহাটে অবাদে চলছে অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি। অতিথি পাখির পাশাপাশি থেমে নেই দেশীয় প্রজাতির পাখি শিকার। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির নানা রকম পাখি।

শীত আসার বেড়ে যায় একশ্রেণীর ভোজনবীলাসি পাখি খাদকের আনাগোন। ফলে বেড়ে যায় শিকার। অতিথি পাখির আগমন শুরু হলেই শিকারীরাও নেমে পড়ে মা পাখির কাছ থেকে তার সন্তানকে এবং পরিজনদের কেড়ে নিতে। সেই সাথে স্থানীয় গ্রাম্ম হাট-বাজারেও বসছে পাখি বিক্রির হাট।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনে সংশ্লিষ্টদের নেই এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা । ফকিরহাট, রামপাল, সরণখোলা, সহ সুন্দরবনের পার্শবর্তী উপজেলা গুলোতে অতিথি পাখি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বেশি পাওয়া যাচ্ছে এখান । আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, বিষটোপ, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ব্যাবহার এবং এয়ারগান দিয়ে শিকারীরা অবাধে অসহায় অতিথি পাখি ধংশ করে। উপজেলা জুড়ে গ্রামে গ্রামে বন-বাদাড়ে, যেখানেই পাখিদের আনাগোনা; সেখানেই চলছে শিকারীদের হানা।
বাদ যাচ্ছে দেশিয় প্রজাতির পাখিও। হলদে কুটুম, খয়েরী ঘুঘু, বাশঘুঘু, ফোড়েল ঘুঘু, কুলি, ঝুটকুলি, মাছরাংগা, আমতোতা সহ দেশীয় প্রজাতির সব ধরনের পাখিই এখন শিকারীদের টার্গেটে পরিনত হয়েছে। পাখি শিকারের যেন এক রামরাজত্ব কায়েম করেছে এখানে।
শীতকালে খেজুর গাছের নলায় রসের সন্ধানে যে ঝুটকুলির ছিল অবারিত, তা এখন আর চোখে পড়েনা। শৈল্পিক বাবুই পাখিরও আর দেখা নেই তালগাছে। উধাও ঘরের কোনে চড়ই এর বাসা।
সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের আগান-বাগান বনবাদাড়ে সারাদিন ঘুরে যে তথ্য পাওয়া গেল তা হলো: মানুষের কাছ থেকে জীববৈচিত্রের সুন্দরতম প্রাণী পাখি আজ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদেরই কারনে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পরিবর্তে আমরাই তৈরী করছি বৈরিতা।
ফলে কৃষকের বন্ধু প্রকৃতির প্রান অবাধে নিধন হওয়ার ফলে চাষির ফসরে ব্যবহার করতে হয় অতিমাত্রায় কিটনাষক।
তাই শিকারিদের তান্ডব বন্ধো অনতি বিলম্বে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে জীববৈচিত্র সংরক্ষনে পাখি নিধন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য আহবান জানিয়েছেন এলাকার স্বচেতন মহল।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More