বাগেরহাটের কচুয়ায় এক তরুণীকে (১৬) অপহরণের পর বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় মেয়েটিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে বাড়ির মালিক কাজী আব্দুল হাইকে (৪৭) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ওই তরুণীকে অপহরণের পর রাতে আব্দুল হাই কাজীর বাড়িতে আটকে ধর্ষণ করে রাখে রাজু নামে এক বখাটে যুবক।
গ্রেপ্তারকৃত কাজী আব্দুল হাই গজালিয়া গ্রামের মোমিন উদ্দিন কাজীর ছেলে। তবে এখন পর্যন্ত (শনিবার রাত ৮টা) ধর্ষক রাজুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে মেয়েটির মা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ এবং ৯/১ ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
উদ্ধারকৃত মেয়েটির বরাত দিয়ে কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের ওই মেয়ে একই এলাকার সুমন নামে তার কথিত প্রেমিককে নিয়ে পার্শবর্তী বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামে ভ্যানযোগে বেড়াতে আসেন।
এ সময়ে গজালিয়া গ্রামের ইউনুস আলী দরানীর ছেলে রাজু দরানীসহ ৪/৫ যুবক তাদের গতিরোধ করে মেয়েটির সঙ্গে থাকা সুমন নামে ওই যুবককে মারধর করে তার একটি মোবাইল ফোন সেট ও ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে প্রেমিক সুমনকে তাড়িয়ে দিয়ে মেয়েটিকে রাজু ও তার সঙ্গীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গজালিয়া গ্রামের আব্দুল হাই কাজীর বাড়িতে রাখে।
পরে রাতে বাড়ির মালিক আব্দুল হাইকে খাবার আনতে বাইরে পাঠিয়ে রাজু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। শনিবার এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে ও বাড়ির মালিক কাজী আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে।
এসআই আরো জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। রোববার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
পুলিশ জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More