সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে সোমবার একটি ট্রলারসহ প্রচুর পরিমাণ সুন্দরী কাঠ উদ্ধার করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে চোরা কাঠ পাচারকারীরা পূর্ব সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে এসব কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ লোকালয়ে নিয়ে আসছিলো। উদ্ধারকৃত কাঠ কটকা স্টেশন সংলগ্ন জামতলা এলাকায় রাখা হয়েছে।
তবে উদ্ধারকৃত কাঠের পরিমাণ নিয়ে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ ও কোস্টগার্ড থেকে দুই ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত কাঠের পরিমাণ আনুমানিক তিন শত থেকে সাড়ে তিন শত ঘনফুট। অন্যদিকে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে উদ্ধারকৃত কাঠের পরিমাণ আনুমানিক দুই হাজার ঘনফুট।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে জানান, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে কটকা স্টেশনের কর্মীরা সোমবার রাতে কোস্টগার্ডের কচিখালী কনটিনজেন্টের সহযোগিতায় একটি চোরাই কাঠ বোঝাই ইঞ্জিন নৌকাকে ধাওয়া করে। পাচারকারীরা জামতলা এলাকায় সাগর তীরে নৌকাটি ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত আটক কাঠ পরিমাপ করা যায়নি।
তবে এর পরিমাণ আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন শত ঘনফুট হতে পারে। কাঠ পরিমাপ করে কটকা স্টেশনে নিতে শ্রমিক সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার লে. এ এম রাহাতুজ্জামান স্বাক্ষরিত কোস্টগার্ডের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, উদ্ধারকৃত কাঠের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার ঘনফুট। যা সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কটকা স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত কাঠের পরিমাণ নিয়ে এই বিভ্রান্তি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘পরিমাণগত এ ধরণের পার্থক্য উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য “বিব্রতকর”। বিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো।’
অভিযোগ আছে সুন্দরবনে নাম মাত্র বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে সংবাদ মাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠায় কোস্টগার্ড। প্রকৃত অর্থে তাদের কার্যক্রম বেশ দুর্বল। যার কারণে বনজ সম্পদ পাচার ও দস্যুতা দমনে র্যাবসহ অনান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়মিত অভিযানে থাকতে হয় সুন্দরবনে।
বাহিনীটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযানের নামে তেল বানিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লে. এ এম রাহাতুজ্জামান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, এ ধরণের পরিমাপ তাৎক্ষনিক অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়। অভিযানে অংশ নেয়া সদস্যদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নিয়ে থাকি। ফলে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
প্রকৃত পরিমাপ শেষে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা যাবে। এখানে বিভ্রান্তির কিছু নেই।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More