ভারতে পাচার হওয়ার ৩ মাস ১০ দিন পর উদ্ধার হয়েছে মংলার কিশোরী মিনা। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে পাচারকারীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৪মাস আগে চলতি বছরের ২ এপ্রিল মংলার উলুবুনিয়া এলাকার আনোয়ার গাজীর মেয়ে মিনা খাতুনের (১৯) এর সাথে পারিবারিক সম্মতি ছাড়াই বিয়ে হয় মোল্লারহাট উপজেলার বুড়িগাঙ্গা গ্রামের মৃত আকতার শেখের ছেলে মুরছালিন (৩৫) এর সাথে। বিয়ের ১৫ দিন পর মুরছালিন তার স্ত্রী মিনাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে কৌশলে ভারতের মুম্বাই এর বিরালদায় নিয়ে যায়। এবং সেখানে গিয়ে মুরছালিন তার মামা মিন্টু শিকদারের কাছে রেখে চলে আসে।
পরে মিন্টু সেখানে আটকে রেখে তাকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে। মেয়ের পরিবার খবর পেয়ে মংলার একটি বেসরকারী উন্নয় সংগঠন ওয়ার্ল্ড ভিশনের চাইল্ড সেফটি নেট প্রজেক্ট’র শরণাপন্ন হন। এর পর সংস্থাটি ভারতের ঐ এলাকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারের সহায়তায় প্রথমত মিনা কোথায় আছে সে ঠিকানা সংগ্রহ করেন।
সব শেষ সোমবার চাইল্ড সেফটি নেট প্রজেক্ট’র সহায়তায় মংলার কুমারখালী এলাকার হিজলা হাসানের মাধ্যমে ভারতের বিরালদা থেকে উদ্ধার করে মংলায় নিয়ে আসা হয় ঐ কিশোরীকে।
সেখান থেকে ফিরে এসে মিনা সাংবাদিক ও পুলিশকে জানান, মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে মুরছালিন এর সাথে তার প্রেমের সম্পার্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পর তার স্বামী ভারতে পাচার করে দেয়। সেখানে তার মামা তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। এর সাথে মুরছালিনের পুরো পরিবার জড়িত।
এসময় মিনা জানান, মুরছালিনের একাধিক বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে। যাদের ভারতে পাচার করে পতিতাবৃত্তি করিয়ে থাকে মুরছালিন। আটকে রাখার কারণে ইচ্ছা থাকলেও কেউ সেখান থেকে ফিরে আসতে পারে না।
মিনা আরো জানান, সেখানে তার পরিচিত মংলা সহ আশপাশ এলাকার অনেক মেয়ে রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার মিনা বাদি হয়ে মংলা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে মংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মো: মনজুরুল এলাহী বলেন, পাচারকারী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। খোঁজ রাখা হচ্ছে, দেশে ফিরলে তাকে এবং এই চক্রকে আটক করা হবে।
৩০ জুলাই ২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More