রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুন্দরবনের দুবলারচরে আয়োজন করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা ও পূর্ণস্নানের।
আগামী ৫ হতে ৭ নভেম্বর দুবলারচরের আলোরকোলে এ উপলক্ষে চলছে উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি।
পূর্ণস্নানে নিরাপদে যাতায়াতে তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আটটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
অনুমোদিত পথগুলো হচ্ছে- বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর।
কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদারগাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়–য়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর।
ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী- শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীরা ৫ হতে ৭ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য অনুমতি পাবেন এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে।
যাত্রীরা নির্ধারিত রুটের পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন। তারা বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানোর সুযোগ পাবেন না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে।
পূণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদপত্র সঙ্গে রাখতে বলেছে বন বিভাগ।
এছাড়া, পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, মাইক বাজানো, পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যে কোন অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে বলে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ জানিয়েছে।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More