বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামে এক স্কুলছাত্রী (১১) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পার্শ্ববর্তী উত্তর রাজাপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান হাওলাদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩২) নামের এক লম্পট গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুলে যাওয়ার সময় মেয়েটিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তিন দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযোগ।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে ধর্ষক মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহযোগীতাকারী মারুফা ওরফে কালা বেগম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনসহ তিন জনকে আসামী করে সোমবার রাতে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মেয়েটি স্থানীয় আমড়াগাছিয়া বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার দুই নম্বর আসামী মো. দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে মেয়েটি স্কুলে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ছিদ্দিক মিয়ার মাছের ঘেরের কাছাকাছি পৌঁছলে লম্পট মোস্তাফিজ তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তাকে মুখ চেপে ধরে তার পরিচিত মারুফা ওরফে কালা বেগমের বাড়িতে নিয়ে সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে ধর্ষণের পর ওই লম্পট মেয়েটিকে রাতে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে এনেও দু’দিন ধরে বিভিন্ন ভয়তীতি দেখিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এবস্থায় একপর্যায় গত সোমবার (৪ মার্চ) সকালে মেয়েটি পালিয়ে তাদের বাড়িতে এসে তার মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার মেয়েটি জানায়, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে ছুরি-চাকু দেখিয়ে তাকে চুপ করানো হতো। তার সাথে খারাপ কাজ করলে বাড়ির লোকজন কিছু বলতো না। তার রক্ত মাখা জামা কাপড় তারা ধুয়ে ফেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. পান্না মিয়া ঘটনা সত্য বলে জানান, বিয়ে পাগল মোস্তাফিজ কোনো কাজবাজ করেনা। সে ইতোমধ্যে দুই-তিনটি বিয়ে করেছে। সে এলাকায় বখাটে হিসেবেই পরিচিত।
শরণখোলা থানার ভারপআপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ পিপিএম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই দুই নম্বর আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সকালে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More