প্রচ্ছদ / খবর / বাগেরহাটে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

বাগেরহাটে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

LAW-Judgmentবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আল আসাদ আসিফুজ্জামান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবন দণ্ডিতকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের করাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সাপরাখালী গ্রামের আফসার আলী খাঁর ছেলে লাভলু খাঁ, পশ্চিম বহরবুনিয়ার আসমত আলী হাওলাদারের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি ওরফে হাবি ডাকাত, সাপরাখালীর তাজেল হওলাদারের ছেলে আলামিন হাওলাদার এবং সূর্যমুখী গ্রামের মজিদ হওলাদারের ছেলে বেল্লাল হোসেন।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের আব্দুর রব শেখের ছেলে হারুন শেখ ছাড়া অন্য কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘের ও জমিজমা নিয়ে আসামিদের সঙ্গে মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফুলহাতা গ্রামের বশির উদ্দিন হওলাদারের ছেলে সরোয়ার হোসেন হাওলাদারের বিরোধ ছিল।

এর জেরে ২০০৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা সরোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের পশ্চিম বহনবুনিয়া গ্রামের বয়াসিঙ্গের খালপাড়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে স্বজনরা।

ওই ঘটনার ২দিন পর ২২ ফ্রেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও মামলার দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মামলার রায়ে চার্জশিটভূক্ত বাকী ৬ আসামিকে খালাশ দেওয়া হয়। মামলা চলাকালে একজনের মৃত্যু হয়।

আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ ই আলম বাচ্চু এবং সরকার পক্ষে বাগেরহাট জেলার পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী আদালতে মামলা পরিচালনা করেন।

১৯ মে ২০১৫ :: সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আই হকএনআর এ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ