বাগেরহাটের মংলা উপজেলার একটি মাদ্রাসা থেকে রিয়াজ খান (১২) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
এ ঘটনায় অপহরণের আশংকা প্রকাশ করে মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকালে রিয়াজের পরিবারের পক্ষ থেকে মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।
নিখোঁজ রিয়াজ উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের চাঁদপাই গ্রামের সুলতান খানের ছেলে। সে একই ইউনিয়নের মালগাজি গ্রামের আলহাজ্ব কোরবান আলী মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানার আবাসিক ছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো: শাহ জালাল বাগেহরাট ইনফো ডটকমকে বলেন, গত ২৪ মে দুপুরে খাবার আগে রিয়াজের বড় ভাই মামুন খান পরিচয়ে জনৈক ব্যক্তি তার মুঠোফোনে ফোন করেন। ঐ ব্যক্তি তাকে বলেন যে, রিয়াজের এক চাচা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ সময় ঐ ব্যক্তি রিয়াজকে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করে বলেন, চাচাকে দেখতে রিয়াজকে নেয়ার জন্য তিনি মাদ্রাসার গেটে অপেক্ষা করছেন।
মো: শাহ জালাল বলেন, ‘আমি রিয়াজের কাছে জানতে চাই মামুন নামে তার কোন ভাই আছে কি না। রিয়াজ হ্যাঁ বললে আমি দ্রুত রিয়াজকে দুপুরের খাবার খাইয়ে গেটে পাঠাই। এর পর থেকে রিয়াজ আর ফেরেনি।’
‘মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে রিয়াজের মা ছেলের খোঁজ নিতে মাদ্রাসায় ফোন করলে আমরা জানতে পারি যে রিয়াজ নিখোঁজ বা অপহৃত হয়েছে।’
শিশুটির বড় ভাই মামুন খান বাগেহরাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ঐ দিন তিনি মাদ্রাসায় ফোন করেননি। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কোন চাচা অসুস্থ হয়ে মংলা হাসপাতালেও ভর্তি হননি।
তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ‘কে বা কারা নিশ্চই আমার ভাইকে অপহরণ করেছে। বুঝতে পারছি না কারা কেন এই কাজ করলো। আমাদের সাথে কারো কোন বিরোধ নেই।’
গেটে কে অপেক্ষা করছে না দেখে কেন রিয়াজকে একা গেটে পাঠানো হলো-জানতে চাইলে ঐ শিক্ষক বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে। তবে মামুন রিয়াজের ভাই জেনে আমি সরল মনেই রিয়াজকে গেটে পাঠিয়েছিলাম।’
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বাগেহরাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে রিয়াজ নামে এক শিশু নিখোঁজের ঘটনায় শিশুটির বড় ভাই মামুন খান মঙ্গলবার বিকেলে মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।’
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More