প্রচ্ছদ / খবর / সুন্দরবনে কয়লাবাহী কোস্টারডুবি: তদন্তে দুই কমিটি

সুন্দরবনে কয়লাবাহী কোস্টারডুবি: তদন্তে দুই কমিটি

দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোমিনুল রশিদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে জেলা প্রশাসন।

এর আগে দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ২শ’ ৩৫ টন কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার পথে শনিবার বিকালে দুর্ঘটনায় পড়ে এমভি সী হর্স-১ নামের নৌযানটি। তলা ফেটে গেলে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের হরিণটানার কাছে শেলা নদীতে ডুবে যায় সেটি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার কারণ ও সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের ওপর এর ক্ষতি পরিমাণ নিরুপণ করতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন-সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) গাজী মতিয়ার রহমান, ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) সুলতান মাহামুদ ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের জীব বৈচিত্র্য কর্মকর্তা মেহেদি হাসান।

কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ডিএফও বরাবর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম  বলেন, জেলা প্রশাসন গঠিত ৫ সদস্যের পৃথক তদন্ত দল ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কোস্টারটি কীভাবে ডুবলো, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করে প্রতিবেদন দিবে।

কমিটিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বন বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে।

এদিকে বন বিভাগ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড, জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা রোববার সকাল থেকে আলাদা আলাদাভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।

বন বিভাগ, মংলা বন্দর, কোস্টগার্ডসহ সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম বলেন, “পণ্যবাহী কোস্টারটি যে এলাকায় ডুবেছে সে এলাকা পরিদর্শন করেছি আমরা। কোনো নৌযান যাতে সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনায় না পড়ে সেজন্য লাল পতাকা দিয়ে নিশানা দেওয়া হয়েছে।

ডুবে যাওয়া কোস্টারটি দ্রুত কীভাবে তোলা যায়  তা ঠিক করতে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টারের মালিক পক্ষ এবং মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

কোস্টারের মাস্টার মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, চট্টগ্রামের সমতা ট্রান্সপোর্ট এই কোস্টারের মালিক।

২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর এই শেলা নদীতে ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে একটি ওয়েল ট্যাঙ্কার ডুবে যায়। ওই সময় থেকে সুন্দরবনের এই নৌপথটিতে যান চলাচল বন্ধ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছে।

২০ মার্চ :: সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আইএইচ/এনআরএ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ