প্রচ্ছদ / খবর / দ্রোহের কবি রুদ্রের ২৫তম প্রয়াণ দিবস

দ্রোহের কবি রুদ্রের ২৫তম প্রয়াণ দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

Rudro_bgনানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাগেরহাটের মোংলায় পালিত হয়েছে অকাল প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মঙ্গলবার (২১ জুন) কবির গ্রামের বাড়ি মংলার মিঠাখালীতে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করেছে রুদ্র স্মৃতি সংসদ।

রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিকেলে সংসদ চত্বর থেকে একটি শোকর‌্যালি বের হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। তারা কবির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মিঠাখালী বাজার মসজিদে দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সুমেল সারাফাত। বক্তব্য রাখেন চালনা বন্দর মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁন মিয়া, মোংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাবেক সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ।

Bagerhat-Pic-01(21-06-2016)Rudroসভায় বক্তারা বলেন, চারিদিকে সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে দেশ যখন ভীত-সন্ত্রস্ত, তখন রুদ্রকে আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। সমাজের সকল বৈষম্য, সাম্পদায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার।

১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর (২৯ আশ্বিন) বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জের রেডক্রস হাসপাতালে জন্ম গ্রহন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর। ১০ ভাই-বোনর মধ্যে রুদ্র ছিলেন সবার বড়।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র, ক্ষণজন্মা কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৯১ সালে ২১ জুন ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মাত্র ৩৫ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবনে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনা করেন ৭টি অত্যুজ্জ্বল কাব্যগ্রন্থ-‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’(১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭),  ‘গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’(১৯৯০)।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন। এছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন।

তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক, প্রেম ও দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সবার কাছে তার সঙ্গীতের জন্যও সমান ভাবে জনপ্রীয়। তার রচিত ও সুরারোপিত ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, ‘আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে’-সহ অসংখ গান দুই বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়।

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন রুদ্র তার কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন।

এসএইচ/এসআই/বিআই/২১ জুন, ২০১৬

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ