স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাট সদরে জয়নাব বেগম (৩০) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে তার ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রাম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির মা ও তার সৎ বাবা মুনছুর শেখকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
শিশু জুনায়েদ হাওলাদার (১১) শহরতলীর চিতলী বৈটপুরের উদ্দীপন-বদর-সামছু বিদ্যানিকেতনের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানায়, প্রায় সাত বছর আগে বাগেরহাট শহরতলীর দেওয়ানবাটি গ্রামের বিল্লাল হাওলাদারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জয়নাব বেগম ফকিরহাট উপজেলার মুনছুর শেখকে বিয়ে করেন। এর পর থেকে শিশু জুনায়েদ তার ময়ের নতুন সংসারে থাকতো।
জুনায়েদ হাওলাদারের বাবা বিল্লাল হাওলাদার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মচারি মুনছুর শেখকে বিয়ে করেন। ওই সময়ে আমাদের একমাত্র সন্তান জুনায়েদকে সে তার কাছে নিয়ে যায়। আমি জুনায়েতকে আমার কাছে রাখতে চাইলেও তার মা জোর করে সন্তাকে তার কাছে নিয়ে রাখে।
ঈদের দুদিন আগেও জুনায়েদ আমাদের বাড়িতে আসেছিলো। আমার ছোট ভাই নতুন পোষাক কিনে দিলে তা পেয়ে সে আবার তার মায়ের কাছে চলে যায়।
রোববার বিকালে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি ছুটে আসি।
তার অভিযোগ, তার মা এবং সৎ বাবা মিলে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিলে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার কছে। তাঁর গলায় রশির দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শিশুটির বাবা হত্যার অভিযোগ করলেও তার মায়ের দাবি ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে জুনায়েদ। পুলিশ জুনায়েদকে ঘরের মেঝে মাটিতে রাখা অবস্থায় পেয়েছে।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী ইকবাল হোসেন বলেন, জুনায়েদের বাবা বিল্লাল হাওলাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিহত জুনায়েদের মা জয়নব বেগম ও সৎ বাবা সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মচারি মুনছুর শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা দাবি করেছে, রোববার দুপুরে স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিররে জুনায়েদ ভাত খেতে চায়। এসময় ছেলেকে মারধর করলে অভিমান করে সে ঘরে গিয়ে রশি দিয়ে ঝুলে আতœহত্যা করেছে।
তাদের ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক করান জানা যাবে।
এজি/এসআই/বিআই/১৭ জুলাই, ২০১৬
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More