বাগেরহাটের চিতলমারীর অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিউবয়েলগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে উপজেলার প্রায় ২০ হাজার শিশু শিক্ষার্থী পানির অভাবে তৃষ্ণা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে জানা যায়, উপজেলায় মোট ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-৬৩টি, রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪২টি, কমিউনিটি বিদ্যালয় ২টি ও অমুমোদিত বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার আটশ’ ও শিশু শ্রেণীতে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।
এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ টিওবয়েলগুলোর মাথা (হেড) চুরি হয়ে গেছে অনেক আগেই। বাকিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। আর যেগুলো ঠিক আছে তার বেশীর ভাগই আর্সেনিক যুক্ত। তাই দিনের পর দিন বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রায় ২০ হাজার শিশু শিক্ষার্থী পানির অভাবে তৃষ্ণা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শায়খ আব্দুর রহমান জানায়, তাদের স্কুলের কল অনেক আগেই চুরি হয়েছে। খারার পানির প্রয়োজনে তাদের আশেপাশের বাড়িগুলোতে যেতে হয়। এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিভাবক কমিটির এক জানান, তার স্কুলের দুটি কলই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দির্ঘ্য দিন। কুড়ালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাফায়েত হোসেন বলেন, গরমের শুরুতেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আর টিউবয়েলের পানিতে আর্সেনিক থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্কুলে টিউবয়েল না বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে বিদ্যালয়ের টিউবয়েল গুলো চুরি যওয়ার বিষয়ে শিক্ষক, অভীভাবকরা প্রহরী না থাকা এবং স্থানীয় মাদক সেবন কারীদের অভিযুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, এ জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। তবে বিদ্যালয় মেরামতের সময় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তারা জানিয়ে থাকেন।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More