প্রচ্ছদ / খবর / শক্তি কমেছে ‘মোরা’র, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

শক্তি কমেছে ‘মোরা’র, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

ঘণ্টায় একশ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করার পর স্থলভাগে এসে শক্তি কমতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মোরা স্থল নিম্নচাপ আকারে রাঙামাটি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করিলো। বৃষ্টি ঝরিয়ে ধীরে ধীরে এটি দুর্বল হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত এবং মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর বিপদসংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে আজ রাত ৯টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশেই অবস্থান করছে। এটি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড়, তাই আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে এটি দুর্বল হবে। ঘূর্ণিঝড়-পূর্ববর্তী আবহাওয়ায় ফিরে যেতে আরও ১০-১২ ঘণ্টা লাগবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড় মোরা আজ সকাল ছয়টার দিক থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়।

কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে সকাল আটটার দিকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ঝড়ে এসব এলাকায় বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছপালা।

এবে এর প্রভাবে বাগেরহাটের কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র বাগেরহাট উপকূলে অাঘাত না আনায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে জেলাবাসী। সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠা বাসিন্দারা সকাল থেকে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঝড়ের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বাগেরহাটে। দুর্যোগ থেকে জেলার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে জেলার নয়টি উপজেলায় ২৩৪টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়। এরমধ্যে বেশি ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় শরণখোলা, মংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠে।

সকালে তারা বাড়ে ঘরে ফিরতে গেছেন। দুপুরের পর থেকে মংলা বন্দরে আবারও কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোরায় কক্সবাজারে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুজন গাছ চাপায় এবং একজন আতঙ্কে মারা গেছেন।

এইচ//এসআই/বিআই/৩১ মে, ২০১৭

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ