বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে আবারো একটি সার্বজনীন হরিসভা মন্দিরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার গভীর রাতে উপজেলার হেড়মা বাজার সার্বজনীন হরিসভা মন্দিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসি জানায়, ভোরে বাজারের এক ভক্ত মন্দিরে প্রনাম করতে এসে প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি দেখতে পান। পরে সে তাৎক্ষনিক বিষয়টি মন্দির কমিটিসহ এলাবাসিদের জানায়।
মন্দির কমিটির সভাপতি তালুকদার সুভাষ চন্দ্র জানান, ভোর রাতে অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা মন্দিরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে প্রতিমাগুলো ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দিলে দুটি প্রতিমা পুড়ে গিয়ে আগুন নিভে যায়।
দুস্কৃতিকারীরা এ সময় মন্দিরের সার্বক্ষনিক তত্ত্বাবধায়ক মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ লাল ঘোষের মন্দির সংলগ্ন বসত ঘরের দরজা বাহির থেকে দড়ি দিয়ে বেধে রাখে। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ উপজেলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মী অনুভূতিতে নতুন করে আঘাত এবং ভীতি দেখা দিয়েছে বলে দাবী করেছেন স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোজ্জাম্মেল হোসেন ও বাগেরহাটের এসপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মন্দিরের লোহার গ্রিল ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে চারটি প্রতিমা ভাংচুর করে। এ সময় তারা মন্দিরে থাকা খড়ে আগুনও দেয়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ, গত ১ মার্চ ভোর রাতে শীংজোড় গোপালপুর সার্বজনীন হরিসভা মন্দিরে অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে মন্দিরের ৪/৫টি প্রতিমা ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়। ২ মার্চ রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বনগ্রাম গ্রামের জমিদার বাড়ির নারায়ন চন্দ্র চৌধুরী ও বহরবৌলা গ্রামের তাপস শেনের রান্নাঘর ও জ্বালানী কাঠ রাখার ঘরে অগ্নি সংযোগ করে।
এছাড়া গত ১৯ মার্চ কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের উত্তর গোপালপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করে ও আগুন দেয়া হয়।
তবে এসব ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More