নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম

কুয়াশা, দিনভর মেঘলা আকাশ আর মৃদু বাতাস, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা যেন কমছেই নাই।
কখনও দুদিন বাদে বা দিনে দুই একবার সুর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা যেন বাড়ছেই না। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নতুন উৎপাত হয়ে এসেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে। বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা।
তীব্র শীতের মাঝে বৃষ্টির কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জরুরি কাজ ছাড়া খুব একটা বাইরে বের হয়নি কেউ। শহরের রাস্তা ঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে ধানের চারার উপকার হবে বলছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন উপকূলীয় এই জেলার প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বেড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এধরণের রোগ নিয়ে বেশি আসছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে।
রিকশাচালক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, শহরে রিকশা চালাই। প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে গত রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলো। পেটের দায়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু তেমন কোনো লোকজন নেই রাস্তায়। তাই আয়ও নেই।
জেলা সদরের ডেমা গ্রামের ইলিয়াজ আলী বলেন, অনন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে। বৃষ্টির কারণে আজ শহরে যেতে পারিনি। কাজও হয়নি। এমন ঠান্ডা পড়লে কি করলে বাঁচবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রঘু নাথ কর বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে মাঠে থাকা ধানের বীজ ও রোপণ করা ধানের চারার উপকার হয়েছে। রবি শস্যেরও উপকার হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় তা হলে মাঠে থাকা রবী সশ্য ও সবজির কিছু ক্ষতি হতে পারে।

কম্বল বিতরণ:
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাগেরহাট শহরের কয়েকটি বস্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ করেন। কম্বল পেয়ে খুশির কথা জানিয়েজেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More