কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বাগেরহাটের পশুর হাটগুলো। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে জেলার প্রায় ২০টি পশুর হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকায় এবার দাম কিছুটা সহনীয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জেলার সর্ববৃহত কোবানীর পশুর হাট বসেছে মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুরে।
এছাড়া হাট বসেছে যাত্রাপুর, বাধাল, মুক্ষাইট, ভদ্রপাড়া, বটতলা, দে-পাড়া, চিতলমারী বাজার, মাংলা পৌরসভার পেছনের মাঠ, দিগরাজ, চটেরহাট, মোরেলগঞ্জ পৌরসাভা মাঠ, কালিকা বাড়ি, দৈবগোহাটি, রায়েন্দা বাজার, আমড়াগাছিয়া, ফয়লার হাট, বৈদ্যমারীর বড় হাট গুলো ছাড়াও শহরের মেঘনিতলা, কে,আলি দরগাসহ বেশ কিছু স্থানে কোবানী বসেছে ছোট ছোট কয়েকটি পশুর হাট।
স্থানীয় ভাবে কৃষকের খামারে উৎপাদিত গরুর পাশাপাশি জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে প্রচুর সংখ্যক গরু। ফলে এবছর কোরবানির পশুর দাম ক্রতাদের নাগালের মধ্যে বলে জানানলেন হাট গুলোর সাথে সম্পৃক্তরা।
আর এসব হাটের এবার ক্রেতাদের ঝোঁক ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর দিকেই বেশি। অস্ট্রেলিয়ান জাতের বড় গরুর চাহিদা ও বিক্রি খুবই কম বলে জানালেন বিক্রেতারা।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে বেপারি ও গো-খামারিদের সঙ্গে কথা বললে জানা গেছে- ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু ও ছাগলের আমদানি হয়েছে প্রর্যাপ্ত। বড় আকারের গরুর চাহিদা কম। ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা থাকলেও বিপাকে পড়েছেন বড় আকারের গরুর বেপারিরা। অধিকাংশ ব্যবসায়ীর দাবি এবার তুলনামূলক গরুর দাম কম।
কারণ হিসেবে সদর উপজেলার মুক্ষাইট হাটের গরুর বেপারি রবিউল করিম বাবু বাগেরহাট ইনফোকে জানান, এবছর ভারত থেকে প্রচুর গরু আসার এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। তাছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন ঐ বিক্রতা।
মুলঘর বিষ্টিপুর এলাকার কৃষক জাহাঙ্গির হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা, গ্রামীণ সাধারন মধ্যবিত্তের হাতে টাকা না থাকায় এবার ক্রেতা কম। তাই বিক্রির অবস্থাও বেশ খারাপ।
তিনি জানান, হাটে তিনটি গরু নিয়ে এসেছিম। এর মধ্যে বড় দু’টির দাম চাইছি দুই লাখ দশ হাজার টাকা। আর মাঝারি আকৃতির গরুটি এই মধ্যে বিক্রী করেছি ৩৫ হাজার টাকায়া।
মুক্ষাইট হাটে গরু কিনতে আসা শহরের বাসাবাটি এলাকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি টিপু সুলতাল বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, বড় গরুর দাম তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম হলেও ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু চাহিদা বেশি থাকায় দাম অনান্য বছরের তুলনায় বেশি।
আর এক ক্রেতা এ্যাড. সরদার আব্দুল জলিল বাগেরহাট ইনফোকে জানান, হাটে পর্যাপ্ত গরু আছে। এখনও দাম দার করছি। তবে বাজেটের সাথে না মেলায় এখনও পছন্দের গরুটি কেনা হয়নি।
এদিকে পুলিশ প্রশাসন ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রশাসনের সূত্র জানায়, প্রতিটি হাটের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি টহল জোদ্দার করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোল্যা নিয়ামুল হক বাগেরহাট ইনফোকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে জালাটাকা সনাক্তকরনের জন্য প্রতিটি হাটে সনাক্তকরন মেশিনে ব্যাবস্থা রাক্ষার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতা ও বেপারিদের বড় অঙ্কের টাক পরিবহণের ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কোরবানিকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও কোন চাঁদাবাজির ঘটনা নেই বলে এসময় দবি করে তিনি।
১৪ অক্টোবর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআইএইচ-নিউজ এডিটর/বিআই
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More