৭ ডিসেম্বর, সুন্দরবন ও মংলা অঞ্চল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এ এলাকা শত্রুমুক্ত করেন।
৭১ এর শুরুতে মংলা, রামপালসহ সুন্দরবনে প্রবেশ করে পাক সেনাবাহিনী। ঘাটি ঘাড়ে বর্তমানের নৌ-বাহিনীর ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে। শত্রুমুক্ত করতে স্বাধীনতার সুতিকাগার এ অঞ্চলের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রায় ৯ মাসই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক বাহিনীর যুদ্ধ হয়েছিল এখানে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সেলে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাতো।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) জলিল ও সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ এর এই দিন মংলা ও সুন্দরবনের বিশাল এলাকা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত করে। বিজয়ের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে এ অঞ্চেলে।
সুন্দরবন অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা জানান, এ অঞ্চল হানাদার মুক্ত হওয়ায় সেদিন মুক্তিযোদ্ধারাসহ সুন্দরবনের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিজয় মিছিল নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করতে করতে রাস্তায় নেমে আসে। সর্ব স্তরের মানুষ এসে জড়ো হয় বর্তমান মংলা মুক্তিযোদ্ধা অফিস এলাকায়।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More