
তখন ঠিক সন্ধ্যা সাত টা বেজে তেতাল্লিশ,
‘রিশান’ জন্ম নিল হসপিটালের প্রাইভেট কামড়ায়।
আমি ঠিক জানতাম না, কারন রাত আট টায় আমার
জন্ম।
রিশানের মা আমার মায়ের খুব ভাল বান্ধবী ছিল,
সেই সুত্রে সবকিছু আমার মা ই আমাকে বলেছিল
একদিন।
রিশানের বাবা একজন নামকরা ব্যাবসায়ী
আর তাদের প্রথম সন্তান রিশান,
তাই তাদের কাছে দিন টি ঈদের চাইতে বেশি কিছু
বটে।
নামি দামি বিজনেস র্পাটনার, আত্বীয় স্বজন
পাজেরু গাড়ী হাকিয়ে ফুলের তোরা, মিষ্টি আরও কত
কি নিয়ে হাজীর হল !
যেন তখন গোটা হসপিটাল টায় একটা বর্নিল দোকান।
উচ্চ বিলাসীতা পূর্ন নক্ষত্রের
মাঝে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠেছে রিশান
রিশানের বয়স যখন সতেরো,
তখন একটি দূর্ঘটনায় রিশানের বাবা মারা যান।
তবে তাতে রিশানের বিলাসীতাই বিন্দু মাত্র কম
পরেনি।
সেই গাড়ী, বাড়ি আর জাকজমক পূর্ন
দিনে তখনো মরিচার অক্রমন ঘটেনি।
হয়ত কোনদিন ঘটবে ও না,
রিশান এখানে পড়াশুনা শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য
সুইডেন গেল।
সুইডেন থাকা অবস্থায় রিশানের মায়ের খুব আসুখ
করলো
মাকে দেখতে আসার সুযোগ হলে ও সে সুযোগের সত্য
ব্যবহার রিশান করেনি।
রিশানের মা’র চোখের জল তখন ও রিশানের অর্থের
কাছে খুব ই নগন্য ছিল ।
একদিন নিজের ভাই কে রিশানের মা ফোনে তার
অসুখের কথা জানালো,
পরের দিন রিশানের মামা তার
বোনকে একটি হসতিটালে র্ভতি করলো।
দিন দিন রিশানের মা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তবু রিশান
সে অসুস্থ সংবাদ শুনে খুব ই শুস্থ ছিল।
রিশানের মা কিছু দিন পর পাগলের মত হয়ে গেলেন
ডাক্তার তার উন্নতির জন্য তাকে মেন্টাল
হসপিটালে শিফট করলো।
ব্যাস, পাক্বা তিন বছর চলে গেল রিশানের
মা শেরে উঠতে।
ডাক্তার বললো মানুষের মধ্যে থাকলে রিশানের
মা ভাল থাকবেন।
রিশান কে ফোন করা হল রিশান বললো,
‘মাকে একটা নামিদামি বৃদ্ধাআশ্রমে রেখে এসো ‘
কিছুই বলতে পারিনি সেদিন রিশানের কথা শুনে !
বৃদ্ধাআশ্রমে রেখে আসা হলো রিশানের মাকে ।
তার ছয় থেকে সাত মাস পর রিশান দেশে ফিরলো
তবে তখনো সে কথা রিশানের মা জনতো না আর
কিভাবেই বা জনতো রিশান যে এখন তার
কম্পানী কে আরো আরো বড় করার কাজে দিন রাত
ব্যাস্ত ।
মাঝে মধ্যে নিজের ড্রাইভার
কে পাটিয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠায়
বৃদ্ধাআশ্রমে
আর নিজে বসে থাকে ঠান্ডা এসি গাড়িতে।
আজ রিশান সবাচাইতে খুশি, অর্থে বিত্ত রিশান
এখন আকাশ ছুঁই ছুঁই।
ঘাড় থেকে ও রিলানের মায়ের বোঝা নেমে গেছে।
মেন্টাল হসতিটাল, বৃদ্ধাআশ্রম নিজের
সাজানো সংসার সব কিছু ছেড়েই, আজ রিশানের
মা পরম ‘নিদ্রাআশ্রমে’ ।
প্রতি বছর খুব দুমদাম করে আজ ও মিলাদ মাহফিল
দিয়ে চলেছে রিশান মায়ের নামে নিজ গ্রামে।
কিন্তু সেদিনের মত আজও একজন ই শুধু
অনুউপস্থিত থাকে সে মিলাদে।
সে আর কেউ নয়, রিশান !
স্বত্ব ও দায় লেখকের…
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More