প্রচ্ছদ / খবর / এমপি মোজাম্মেলের হলফনাম‍ার তথ্য দুদকে

এমপি মোজাম্মেলের হলফনাম‍ার তথ্য দুদকে

Duduk-MP-Mosasalসাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাক্তার মোজাম্মেল হোসেনের হলফনামার তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে বাগেরহাট ৪ আসনের এ এমপির হলফনামার তথ্য পাঠায় ইসি।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, গত ১৬ এপ্রিল মোজাম্মেল হোসেনের তথ্য চেয়ে ইসিকে চিঠি দেয় দুদক।

সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এলে দুদক তার হলফনাম‍ার তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসিকে। মোজাম্মেল হোসেনের দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুসারেই ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে সম্পদ বৃদ্ধি পরিমাণ প্রায় ১০০ গুণ।

১৯৯৬-২০০১ সালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী তার স্ত্রীর নামে ১ কোটি টাকার সঞ্চয়ী হিসাবপত্র কিনেছিলেন যা তিনি  হলফনামায় গোপন করেছেন।

দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, বাগেরহাটস্থ আমলাপাড়ায় স্ত্রীর নামে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ভবন (বাড়ি নং-৪২), খুলনার নিরালায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি ( বাড়ি নং-৪৭৭) থাকলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় সে তথ্য গোপন করেছেন। তার একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি থাকলেও অনেক তথ্যই তিনি গোপন করেছেন। আয়ের উৎস হিসেবে ডাক্তারিকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন অথচ গত ২০ বছর তিনি এ পেশার সঙ্গে যুক্ত নয়।

সূত্র আরো জানায়, তার ছেলে ডা. মাহমুদ হোসেনের নামে প্রায় ১৫ কোটি মূল্যের দুটি ভবন রয়েছে যা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এমপি থাকা অবস্থায় মোড়লগঞ্জ শরণখোলায় সকল চাকরি প্রদানে প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ উপায়ে প্রায় ৫শত লোককে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া ১৫টি স্কুলকমিটির সভাপতি থাকাকালে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন। যেখান থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া সরকারের টেস্ট রিলিফের কর্মসূচি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পসহ  সরকারের অনেক কর্মসূচিতে বরাদ্দকৃত টাকার একটি বড় অংশ তার পকেটে যেত বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, তার ছেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. মাহমুদ হোসেন বাগেরহাট মোড়লগঞ্জে বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার কারণে বিগত কয়েক বছরে মাহমুদ হোসেন খুলনা, বাগেরহাট ও ঢাকায় বিশাল অট্টালিকার মালিক হয়েছেন।

২১ এপ্রিল ২০১৪ :: সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআই হকনিউজরুম এডিটর/বিআই

About ইনফো ডেস্ক