মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ও এঘটনায় দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
জেনারেটর চালিত ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয় এ প্রতিবেদনে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম এইচ আর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লে.কমান্ডার সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটি বন্দর কতৃপক্ষের নিকট রোববার লিখিতভাবে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী (নৌ ও নির্মাণ) শরিফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার আবু আবদুল্লাহ ও হাইপ্রিড কোং এর জেনারেল ম্যানেজার মো. জয়নাল আবেদিন।
এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যাওয়া অগ্নিদগ্ধদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যাংকারটির মালিকানাধীন কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন।
মি. আবেদীন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাংকারটি বন্দরের পশুর চ্যানেলে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা প্রহরীদের তত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ওয়েল ট্যাংকারটি নিরাপদে সরিয়ে নিতে মালিক পক্ষকে তাগিদ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে আগুনের ঘটনায় ট্যাংকারটির নাবিকদের বসবাসের সকল কক্ষ এবং ইঞ্জিন পুরোপুরি বিকল হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ঢাংমারী এলাকায় নোঙ্গর অবস্থায় ‘এম টি জাকাহ্’ নামক অয়েল ট্যাংকারবাহী জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনরুমের এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জাহাজে ঘুমিয়ে থাকা ৪ কর্মচারি মারাত্মক ভবে অগ্নিদগ্ধ হয়।
পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আরো দুই জনের মৃত্যু হয়।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More