প্রচ্ছদ / খবর / চিকিৎসার দ্বার খুললো ছোট্ট শিশু নাঈমার

চিকিৎসার দ্বার খুললো ছোট্ট শিশু নাঈমার

Nima-Picবাগেরহাট ইনফো ডটকম-এ সংবাদ প্রচারের পর চিকিৎসার দ্বার খুললো ছোট্ট শিশু নাঈমার।

ছোট্ট নাঈমা বাঁচতে চায়” শিরোনামে বাগেরহাট ইনফো ডটকম -এ সংবাদ প্রচারের পর শিশুটির চিকৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন প্রবাসীসহ কয়েকজন হৃদয়বান মানুষ।

সাড়ে তিন বছর বয়ছের ছোট্ট শিশু নাঈমা আক্তারের হৃদপিন্ডে (হার্টে) ছিদ্র ধরা পড়ে গত মে মাসের দিকে।

চিকিৎসকরা তখন জরুরি ভিত্তিতে শিশুটিকে অপারেশন করানোর কথা বললেও অর্থের অভাবে শিশুটির পরিবার তখন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা না করিয়ে ফিরে এসেছেন বাগেরহাটে।

কিছু দিন পর শহরের এক চা দোকানি বিষয়টি শুনে ফোনে বাগেরহাট ইনফোকে বিষয়টি জানান। এর পর সরজমিনে শিশুটির বাড়িতে গিয়ে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে এবং পরিবারের সাথে কথা বলে গত ৫ জুন “ছোট্ট নাঈমা বাঁচতে চায়” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বাগেরহাট ইনফো ডটকম

দেশের প্রথম অনলাইন কমিউনিটি পোর্টাল বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এর মাধ্যমে নাঈমাকে সাহায্যের আবেদন পৌছে যায় দেশ ও প্রবাসে।

সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নাঈমার বাবা শহিদুল ইসলাম ও বাগেরহাটের প্রথম এবং সর্ববৃহৎ অনলাইন পোর্টাল বাগেরহাট ইনফো কর্তিপক্ষেরে সাথে দেশ ও প্রবাস থেকে যোগাযোগ করেন অনেকেই। ওই দিন থেকেই ছোট ছোট কিছু সাহায্য আসতে থাকে শিশুটির চিকিৎসার জন্য।

আবারও শিশুটি দ্রুত চিকিৎসা করানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে নাঈমার পরিবার।

শুক্রবার সকালে নাঈমার বাবা শহিদুল ইসলামের (শহিদ) সাথে কথা হয় বাগেরহাট ইনফোর। তিনি জানান, আল্লাহর অশেষ রহমাত আর আপনাদের সবার দোয়ায় নাঈমাকে আবারও চিকিৎসা করাতে পারব বলে আশা করছি।

অল্প অল্প সাহায্য করেছেন অনেকেই। সবশেষ ঈদের আগে একজন লন্ডন প্রাবাসি ও একজন সৌদি প্রবাসির সাহায্যের পর চলতি মাসেই নাঈমাকে নিয়ে আবারও চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাবার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সংবাদ দেখে অনেকেই ফোন করেন আমাকে। তারা আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক সাহায্য করেছেন। এদের মধ্যে লন্ডন থেকে একজন ৭৫ হাজার এর কিছু বেশি এবং সৌদি থেকে আর একজন ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন।

নাঈমার চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানো সিলেটের বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসি ফয়েজ আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও সৌদি আরব প্রবাসি নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ এর বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন সাথে কথা হয় বাগেরহাট ইনফোর।

বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, “সৌদি ছোট একটি ব্যবসা করি আমি। নাঈমার মতন আমারও একটি ছোট মেয়ে আছে। তাই মেয়ের সমতুল্য নাঈমার জন্য আমার সাধ্য অনুযাই সামান্য কিছু করতে চেয়েছি।”

ছোট্ট নাঈমা সুস্থ হয়ে হাসি মুখ নিয়ে আবারও সবার মাঝে ফিরে আসবে বলে প্রতাশা জানান তিনি।

নাঈমার পিতা শহিদুল ইসলাম সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার ছোট্ট মেয়ের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, সবার চাহায্য আর চেষ্টায় চলতি মাসেই মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাবো। এবার হয়তো তার (নাঈমার) হার্টে বোতাম পরাতে অপারেশন হবে।

“আমার মেয়েটা সুস্থ হবে” বলে এসময় কেঁদে ফেলেন তিনি।

০১ আগস্ট ২০১৪ :: সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআই হকনিউজরুম এডিটর/বিআই

About ইনফো ডেস্ক