বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অগ্রনী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গ্রাহকদের অজান্তে তাদের নামে লোন দেখিয়ে ও নবায়ন করে ২৩ লক্ষাধীক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের মোরেলগঞ্জ শাখার ম্যানেজার দিপক কুমার কুন্ডু মোরেলগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অগ্রনী ব্যাংকের মোরেলগঞ্জ শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার-২ এসপিও মিসেস শাফিয়া বেগম ও অফিসার ক্যাশ সৈয়দ শিয়ন সাইফকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামি সৈয়দ শিয়ন সাইফ (৩০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার নওয়াগ্রাম এলাকার সৈয়দ নাজুল হকের ছেলে এবং মিসেস শাফিয়া বেগম (৫৯) মোরেলগঞ্জের বারইখালী গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী।
মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ব্যাংকের ২৩ লক্ষাধীক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৪০৯ ও ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি উপপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা কর্তৃক তদন্ত কার্য পরিচালিত হবে।
গত বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার নথিপত্র বিশেষ বাহক ও ডাক মাধ্যমে দুর্ণীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই কর্মকর্তাকে গত ২৯ মার্চ চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
তবে বরখাস্ত ও মামলা দায়েরের আগে থেকেই শিয়ন সাইফ পলাতক রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, অগ্রনী ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখায় চাকুরী করাকালে ম্যানেজার শাফিয়া বেগম ও শিয়ন সাইফ তাদের কর্মকালীন সময়ে ভাউচার ব্যাতিরেকে কম্পিউটার পোষ্টিং এবং চেকের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
যে সকল এক্যাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, মেসার্স মোহাম্মদীয়া ষ্টোর ৫ লাখ, রুম্মান ষ্টোর ২ লাখ ৬০ হাজার, ইকবাল ষ্টোর ৩লাখ, রবি ষ্টোর ৫লাখ, হাসান ষ্টোর ২ লাখ, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ২ লাখ, কালাম ষ্টোর ২ লাখ ও সিরাজ মেডিকেল হলের নামে ১ লাখ টাকা।
ব্যাংকের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযাই, ভোগ্যপণ্য ১৬টি ও ইজিপিআরপি লোনের ৫২টি নথি ব্যাংকে পাওয়া যায়নি। আউশ, আমন ও বোরো লোনেরও ১২টি নথিতে বড়ধরণের অনিয়ম মিলেছে।
চলমান তদন্তে আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমান বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More