প্রচ্ছদ / খবর / মোল্লাহাটে দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

মোল্লাহাটে দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ঐতিহ্যবাহী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১১ এপ্রিল) ভোর রাতে মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ি ইউনিয়নের কাঠাজোড়া গ্রামের বিশ্বাস বাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে চাপা ক্ষোভে’র সৃষ্টি হয়েছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ন.ম খায়রুল আনাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শুক্রবার রাতের কোন এক সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে দূর্গা প্রতিমাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

সকালে খবার পেয়ে মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল আলম ছানা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে শনিবার সন্ধা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমৃত বিশ্বাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে ঢুকে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্ত্তিক ও অসুরের প্রতিমা ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

“ভোরের দিকে আমরা মন্দিরে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে আগুন নেভাই। কিন্তু তার আগেই মন্দিরের গনেশ দেবতা বাদে অন্যসব দেবতার শরীর পুড়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, কয়েক যুগ আগের আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে এই দূর্গা মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করি। গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই মন্দিরে দূর্গাপূজা করে আসছি।

কিছুদিন আগে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার জনৈক বিপুল বিশ্বাস ও বিভাস বিশ্বাস নামে দুই ব্যক্তি আমাদের আত্মীয় দাবি করে মন্দিরের ২০ শতক জমির জাল কাগজ তৈরী করে জেলার চিতলমারী উপজেলার রাসেল শেখ নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।

গত মঙ্গলবার আমরা সবাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এই সুযোগে রাসেল নামের ওই ব্যক্তি জমির মালিক দাবি করে আমাদের বসত ঘরে ওঠে। পরে আমরা খবর পেরে এলাকায় ফিরে ঘটনাটি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে তাদের (মালিক দাবি করা রাসেল) কাছ থেকে মুক্ত করে আমাদের ঘর বুঝে দেয়।

জমি থেকে উচ্ছেদ করতে তারাই রাতের অন্ধকারে ভাংচুর ও মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ওসি খায়রুল আনাম বলেন, “সম্প্রতি মন্দিরের জায়গাসহ ২০ শতাংশ জমি কেনাবেচা নিয়ে চিতলমারীর এক ব্যক্তির সঙ্গে মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

১১ এপ্রিল ২০১৫ :: অলীপ ঘটক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আই হকএনআরএ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ